শেষ আপডেট: 7th September 2023 08:54
বাংলাদেশে ১-২ সেপ্টেম্বর দুদিন ব্যাপী ঢাকা ফ্যাশন-ডে হয়ে গেল। প্রথম দিন ফ্যাশন শো-র আয়োজন থাকলেও দ্বিতীয় দিনে ছিল প্রদর্শনীর ব্যবস্থা (Kolkatas fashion designer in Dhaka fashion day)।
কলকাতার বিশিষ্ট ফ্যাশন ডিজাইনার প্রমিত মুখোপাধ্যায়ের শো-কে ঘিরে ছিল বাড়তি উন্মাদনা। প্রমিতের পুরুষদের কালেকশন পরে মডেলরা র্যাম্পে হাঁটলে আমন্ত্রিত অতিথিদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পরার মতো।
ঢাকার আলোকি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রমিতের কালেকশনের মূল আকর্ষণ ছিল ধুতি পাঞ্জাবি। মসলিন, র-কটন, বেঙ্গালুরু সিল্ক, কটন সিল্ক, মালাই কটন ইত্যাদি ফ্যাব্রিকের পাঞ্জাবিতে ছিল কাঁথা স্টিচ, কাশ্মীর স্টিচ, কাচ্ছি ওয়ার্ক ইত্যাদি হ্যান্ড এমব্রয়ডারির অপূর্ব কারুকাজ। কখনও পাঞ্জাবির বুকে আবার কখনও হাতের হেমলাইনে, কলারে অর্থাৎ পাঞ্জাবির বিভিন্ন জায়গায় প্লেসমেন্ট ওয়ার্কে এই কারুকাজ পাঞ্জাবিকে দেয় বাড়তি মাত্রা। পাঞ্জাবির কালার প্যালেট ছিল অলিভ গ্রিন, অফ হোয়াইট, রেড, ব্ল্যাক, কফি, ফিরোজা, মাস্টার গোল্ড ইত্যাদি। নেক লাইনেও ছিল ভ্যারিয়েশন। পাঞ্জাবিকে অনন্য মাত্রা দিতে কখনও ছিল 'হিডেন চেইন'-এর ব্যবহার। আবার কখনও বোতামের কারিকুরিতে পাঞ্জাবির বাহার ছিল বেশ আকর্ষণপূর্ণ।
পাঞ্জাবির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে লিনেন, তসর সিল্কের কনট্রাস্ট কালার কম্বিনেশনের উপর ধুতির বর্ডারে ছিল হ্যান্ড এমব্রয়ডারি যা এককথায় নজরকাড়া। কখনও আবার পাঞ্জাবির সঙ্গে পাটিয়ালা, চুড়িদার, আলিগড়ি প্যান্টও চোখে পড়ে।
ফ্যাশন শো-র কোরিওগ্রাফার ছিলেন জুনেদ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
কে এম খালিদ। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফ্যাশন ডিজাইনার তথা ফ্যাশন আইকন বিবি রাসেলের হাত ধরে এই ফ্যাশন-ডের উদ্বোধন করা হয়। মঞ্চে তাঁকে এদিন বিশেষ সম্মাননাও জানানো হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিলেন পিয়াল হোসেন।
ফ্যাশন ডিজাইনার প্রমিত জানালেন, 'একজন ডিজাইনার হিসেবে ওপার বাংলায় যে এতটা সমাদৃত হব সেটা আগে ভাবি নি। আমাকে বিশেষ সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। সেইসঙ্গে ওপার বাংলার নির্মাতা, অভিনেতা, অভিনেত্রী থেকে শুরু করে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্টদের স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেদিন যেন দুই বাংলা মিলেমিশে হয়ে উঠেছিল শিল্প সংস্কৃতির মিলনক্ষেত্র।'
আরও পড়ুন: রূপান্তরকামীদের র্যাম্প ওয়াক, মঞ্চ মাতালেন শ্রুতি, দেবিকা, মধুশ্রীরা