গ্রাফিক্স- শুভ্র শর্ভিন
শেষ আপডেট: 3 May 2025 19:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মে মাসের গরম (summer) দাপট দেখাতে শুরু করে দিয়েছে। রোদের তেজে বাইরে বেরনো দায়। মুখ কাপড়ে ঢেকে, চোখে সানগ্লাস চাপিয়েও মিলছে না রেহাই। অনেকেই রোদের হাত থেকে বাঁচার জন্য হাতের খোলা অংশে গ্লাভস, পায়ে মোজা পরে বাইরে বেরোচ্ছেন।
অনেকেই আছেন যাঁরা সানস্ক্রিনকে নিজের প্রিয় বন্ধু বানিয়ে ফেলেছেন। নিয়ম করে সানস্ক্রিন ব্যবহার করে তারপর রোদে বেরোন। কিন্তু তাতেও সঠিক ফল পাওয়া যাচ্ছে না। ট্যানের হাত থেকে মিলছে না মুক্তি। সানস্ক্রিন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আপনার কোনও ভুল হচ্ছে না তো? জানুন কী বলছেন সেলিব্রিটি ডার্মাটোলজিস্ট রশ্মি শেট্টি-
তাঁর কথায়, সানস্ক্রিন কেনার আগে এই ৩ জিনিস মাথায় রাখুন-
১) এসপিএফ (SPF): সানস্ক্রিনের গায়ে লেখা থাকে এসপিএফ ১৫, ৩০, ৫০। সেটা দেখেই আমরা সানস্ক্রিন কিনে থাকি। কিন্তু কী এই এসপিএফ? এটা হল সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর (Sun Protection Factor)। দিনের বেলা চড়া রোদে বাইরে বেরোলে রোদ থেকে ঠিক কতক্ষণ সুরক্ষা পাওয়া যাবে, তা বলে দেয় এসপিএফ। ১ এসপিএফ মানে ১০ মিনিট রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষা। তাই ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলেন, চড়া রোদে বাইরে গেলে এসপিএফ ৫০ যথেষ্ট (৯৯.৬% সুরক্ষা)।
২) টিপিআই (TPI): রোদে সানস্ক্রিন মেখে বেরোলেও ট্যান পড়ছে? তাহলে নিশ্চয়ই সানস্ক্রিনের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে। সেটা হল ট্যান প্রোটেকশন ইনডেক্স (Tan Protection Index)। সানস্ক্রিনের গায়ে PA++++ আছে কিনা দেখে নিন। প্লাসের সংখ্যার ওপর নির্ভর করে আপনার সানস্ক্রিন ট্যান থেকে কতটা সুরক্ষা দিতে পারবে। ৩+ হলে তাও বেশ ভাল ত্বকের পক্ষে।
৩) ব্লু লাইট প্রোটেকশন (Blue Light Protection): বেশিরভাগ মানুষই এখন কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন। তা না হলেও দিনের অনেকটা সময় ফোনের সামনে কাটান। ডিভাইস থেকে যে নীল আলো বেরোয় তা ইউভি রশ্মির থেকে ছোট ওয়েভলেন্থের হয়। কিন্তু ত্বকের ক্ষতি করতে সক্ষম। অনেক সানস্ক্রিনেই এখন ‘ব্লু লাইট প্রোটেকশন’ ফ্যাক্টর থাকে।
খুব চড়া রোদে অনেকক্ষণ বাইরে থাকলেও ৩-৪ ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। বাড়িতে থাকলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করার অভ্যেস না থাকলে, সেটাও শুরু করে ফেলুন তাড়াতাড়ি।