শেষ আপডেট: 2nd October 2024 19:24
অফিস থেকে ফেরার পথে আদরের ননদিনী মিতুলকে ভিডিও কল করল শ্রেয়া।
মিতুল-আরে তোমাকেই তো কল করব ভাবছিলাম বৌদিভাই। পুজো তো এসে গেল। তোমার শপিং কমপ্লিট? মা কী কী কিনল গো আমাদের দুজনের জন্য? দাদাভাই কি কিছু কিনেছে আমার জন্য? আর তুমি যে আমাকে এক্সক্লুসিভ কিছু একটা দেবে বলেছিলে....
শ্রেয়া-ওয়েট মিতুল ওয়েট। তুই তো ঝড়ের বেগে বলে যাচ্ছিস।আমাকে একটু বলতে দে। অনেক কথা আছে তোর সঙ্গে।আগে বল কবে কলকাতায় আসছিস?
মিতুল-আমার আসতে সপ্তমী ইভিনিং হয়ে যাবে বৌদিভাই। জানি মা খুব কষ্ট পাবে, বাবা বকবক করবে। কিন্তু কী করব বলো? তুমি তো বোঝো। নতুন চাকরি। জবটা সবে কনফার্মড হয়েছে।এখনই অতো ছুটির কথা বলা যায়?
শ্রেয়া-বুঝেছি রে। তার মানে সপ্তমীর দিন অফিস থেকেই এয়ারপোর্ট দৌড়বি ,তাই তো? সন্ধে সাতটার এয়ার ইন্ডিয়া।
মিতুল-কারেক্ট। আমার বৌদি সব জানে।
শ্রেয়া-ইয়ার্কি মারিস না মিতু। শোন, তুই বাড়ি ফিরেই কল করবি। মাকেও একেবারে ডেকে নেব।
মিতুল-মাকে ডাকবে !! কেন??
শ্রেয়া-টেনশনের কিছু নেই রে। এখন রাখছি।
রাত ন'টা। সৌভিক অফিস থেকে ফিরে এক কাপ কফি নিয়ে আয়েস করছে। শ্রেয়া মাকে নিয়ে ঘরে ঢুকল। ল্যাপটপ খুলে শাশুড়ি বৌমার গুজুর গুজুর চলতে লাগল। ভিডিও কলে যোগ দিল মিতুলও।
শ্রেয়া- মিতু, এতক্ষণ মা আর আমি ডিজাইন দেখছিলাম। তুইও ল্যাপটপটা খুলে বসে পড়।
মিতুল-মা আর তুমি কীসের ডিজাইন দেখছিলে সেটা তো বলো। আমার ল্যাপটপ অন আছে। ফ্যাবে ঢুকব?
শ্রেয়া-আরে না না ,মা এবার আমাদের ...তুমিই বলো মা।
মধুশ্রী-(হাসতে হাসতে) শোন মিতু,এবার পুজোয় তোকে আর শ্রেয়াকে পি সি চন্দ্র জুয়েলার্সের ডায়মন্ড পেন্ডেন্ট দেবো ঠিক করেছি। পায়ের ব্যথাটা খুব বেড়েছে রে। আমার পক্ষে এখন আর শোরুমে গিয়ে পছন্দ করে কেনা সম্ভব নয়।আমি তোর বৌদিভাইকেই বলেছিলাম কিনে আনতে। কিন্তু শ্রেয়া বলল ,এখন ঘরে বসেই ডিজাইন পছন্দ করে পি সি চন্দ্র জুয়েলার্সের গয়না কেনা যায়। শ্রেয়া আমাকে অনেকগুলো ডায়মন্ড পেন্ডেন্ট দেখাল। আমি কয়েকটা বেছেও রেখেছি। এখন তুই দ্যাখ।
মিতুল-অলরেডি দেখতে শুরু করেছি মা। ওয়েবসাইটটা মুখস্থ আছে আমার pcchandraIndia.com তুমি নিশ্চয়ই রেড স্টোন দেওয়া পেন্ডেন্টটা আমার জন্য চুজ করেছ?
মধুশ্রী-(হাসতে হাসতে) ঠিক ধরেছিস।আর সবুজটা শ্রেয়ার জন্য।
সৌভিক-অনেকক্ষণ চুপ করে দেখছি। শুধু মেয়ে আর বৌমার জন্য গয়না বাছাই চলছে।আমার জন্য তো কিছু কিনলে না মা ? একটা হীরের আংটি তো অন্তত দাও।
মধুশ্রী-( মুচকি হেসে) ওটা শ্রেয়া তোকে দেবে বাবু। আমি তোকে এবার ধুতি পাঞ্জাবি দেবো। বরং তুই আমাকে পি সি চন্দ্র জুয়েলার্স থেকে একটা গয়না কিনে দে।
শ্রেয়া-তুমি মজা করে কথাটা বললেও আমি কিন্তু ভেবেই রেখেছি তোমাকে একটা হীরের টপ দেবো। তোমার কোনটা পছন্দ দেখো না মা। প্লিজ দেখো।
পি সি চন্দ্র জুয়েলার্সের ওয়েবসাইটে প্রচুর ডিজাইন রয়েছে ডায়মন্ড ইযার রিংস আর ইয়ার টপের।একের পর এক দেখাতে থাকে শ্রেয়া। একটা মাছ মোটিফের টপে চোখ আটকাল মধুশ্রীর।
শ্রেয়া-ও মা ,এটা কী কিউট। ছোট্ট মাছ।তোমাকে খুব ভাল লাগবে মা।
মিতুল-মা এটাই নাও।আমিও মাঝে মধ্যে পরব।এটা ওয়েস্টার্নের সঙ্গেও হেব্বি লাগবে।আর শোনো,আমি চাকরি পেয়েছি তাই তোমাকে একটা ছোট্ট হীরের লকেট দেবো। তুমি না না করবে না। পছন্দ করে নাও।
সৌভিক-আমাকে তোমরা কেউ কিছু না দিলে কী হবে, আমি কিন্তু তোমাদের তিনজনকে তিনটে ডায়মন্ড রিং দেব পুজোতে। এখন আবার মেকিং চার্জে 15% ডিসকাউন্টও রয়েছে। তোমরাই পছন্দ করবে নাকি আমি নিজে চুজ করব?
মিতুল-তোর পছন্দের ওপর আমাদের অগাধ বিশ্বাস আছে দাদাভাই। তুই নিজেই চুজ কর। আর তোর নিজের জন্যও একটা করবি। আমি চাকরি পেয়েছি ,তাই তোর গিফট তো একটা পাওনা হয়ই।
শ্রেয়া-মিতু ,মা দাদা হীরে উপহার পাচ্ছে ,আর আমি?
মিতুল-বৌদিভাই ,তুমি তো আমার ফ্রেন্ড-ফিলোজফার -গাইড। তোমার জন্য আছে সারপ্রাইজ। অবশ্যই ফ্রম পি সি চন্দ্র জুয়েলার্স অনলাইন স্টোর।