শেষ আপডেট: 7th June 2023 03:47
এই চশমার দামে সর্ষেফুল দেখতে পারেন, কাজে খুলে যাবে নতুন দিগন্ত
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'স্মার্টফোন' শব্দটার সঙ্গে প্রায় যে কোনও দেশে যে নামটা সবার আগে বসে, সেটা আইফোন (Apple)। সারা বিশ্বের সমস্ত প্রতিযোগিতা একদিকে, অ্যাপল আর একদিকে। ষোলো বছর ধরে সারা বিশ্বকে একনাগাড়ে দাপটে শাসন করার নজির আর দ্বিতীয় কোনও প্রোডাক্টের নেই। ২০০৭ সালের ৯ জানুয়ারি প্রথম বাজারে এসেছিল আইফোন। স্মার্টফোন যদিও তার আগে থেকেই অল্প অল্প জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। কিন্তু অ্যাপল আইফোনের সঙ্গে যে বিপ্লবের সূচনা করল, তার তুলনা এক অ্যাপলই। দেড়শো কোটিরও বেশি আইফোন বিক্রি করে আজ নজির তৈরি করেছে অ্যাপল। সঙ্গে রয়েছে অ্যাপল ওয়াচ, এয়ারপড-সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম। এই মুহূর্তে তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি সংস্থা।
এবার অ্যাপল বাজারে আনতে চলেছে আরেক নতুন সরঞ্জাম। 'অ্যাপল ভিশন প্রো'। এককথায়, 'মিক্সড রিয়েলিটি' হেডসেট। যেখানে যন্ত্র আর মানুষের সম্পর্ককে কার্যত অন্য রকম ভাবে সাজাতে চাইছে তারা। দাম রাখা হয়েছে, ৩৪৯৯ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকারও বেশি।
কীরকম হবে এই হেডসেট? সাধারণ বর্ণনায়, এ হবে একজাতের রোদ চশমার মত। সঙ্গে মাথার পিছনে আটকানো থাকবে হেডসেট। একবার চোখে পরে নিলে এই দিয়েই দেখা যাবে সিনেমা, শোনা যাবে গান, তোলা যাবে ছবি, কথা বলা যাবে ফোনে। থাকছে মোট ১২টি ক্যামেরা, ৬টি মাইক্রোফোন, ৫টি সেন্সর। এত বিশাল প্রযুক্তিকে জায়গা দিতে অ্যাপল বানিয়েছে নতুন ধরণের এক অপারেটিং সিস্টেম, 'ভিশন-ওএস'।
অ্যাপলের প্রযুক্তির একটা বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে, তৈরি হতে হতেই এগুলোকে বাজারে ছাড়া হয়। তারপর বাজারের চাহিদা বুঝে তার জায়গা বা লক্ষ্য ঠিক করা হয়। যেমন ধরা যাক 'অ্যাপল ওয়াচ'। শুরু হয়েছিল গয়নার মত, ২৪ ক্যারাটের সোনার ঘড়ি হিসেবে। এখন সেটা এসে দাঁড়িয়েছে ফিটনেস ট্র্যাকারে। মোটামুটি বিশ্বের যে কোনও সুইস ঘড়ি ব্র্যান্ডের চাইতে বেশি বিক্রি হয়।
ফলে ভিশন প্রো নিয়েও একইরকম কৌতূহল তৈরি হয়েছে বাজারে। কোনও তৃতীয় পরিচালক বা কন্ট্রোলারের বদলে ব্যবহারকারী তার হাত বা মুখ দিয়েই একে কন্ট্রোল করতে পারবে। এটি পরা অবস্থায় সামনে থাকা কারোর সঙ্গে কথাও বলতে পারবে, যদি সে চায়। তার জন্য চোখ থেকে এই হেডসেটকে খুলতেও হবে না। এই হেডসেট বানাতে ব্যবহার করা হয়েছে মহাকাশবিজ্ঞানে ব্যবহৃত অ্যালুমিনিয়াম, সঙ্গে ২৩ মিলিয়ন পিক্সেলের মাইক্রো-ওএলইডি ডিসপ্লে, সঙ্গে বিশেষভাবে নির্মিত অডিও ব্যবস্থা।
কিন্তু দামটা বড্ড বেশি হয়ে যাচ্ছে না? বস্তুত, বর্তমান ডলারের হিসেবে প্রায় ২.৮৮ লক্ষ টাকা দিয়ে এত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সেট কেউ কিনবে, এটা আজ দাঁড়িয়ে হয়ত অভাবনীয় লাগছে। কিন্তু ভুললে চলবে না, অ্যাপলের আইফোনও এই মুহূর্তে বাজারে সবচেয়ে দামি এবং সেইজন্যই তার কোনও প্রতিযোগী নেই। নিজস্ব একটা ব্র্যান্ড হিসেবে নিজের জায়গা সে বানিয়ে নিতে পেরেছে। টিম কুকের আশা, আগামী বছরের গোড়াতেই তাঁরা এই ভিশন প্রো বাজারে আনতে পারবেন। শুরুতে আমেরিকাতেই, পরে ধীরে ধীরে বিক্রি বাড়ানো হবে অন্যত্র।
এ আর রহমান সুর চুরি করেছেন হিন্দুস্থানী রাগ সঙ্গীতের অনামী শিল্পীর থেকে! বিচার চেয়ে সরব গায়ক