শেষ আপডেট: 21st November 2024 18:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নভেম্বর মানেই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে থাকবে। এই মরশুমে শুষ্ক ত্বক রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। চিন্তা বাড়ায় ফাটা গোড়ালি। ত্বকের চেয়ে সবচেয়ে ক্ষতি হয় পায়ের গোড়ালি। খোলা জুতো পরলে, ধুলোবালির সংস্পর্শে এলে পায়ের বারো বাজবেই। পায়ের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে তা ফাটতে শুরু করে। তার জন্য হাজার একটা ক্রিম লাগিয়েও উপকার পাওয়া যায় না। তবে শীতকালে কেন পা ফাটে, তা জানা আছে কি?
আসলে পায়ের গোড়ালিতে একরকম গ্রন্থি থাকে। শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণে সেখান থেকে তেল নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আরও রুক্ষ হয়ে গিয়ে পা ফাটতে শুরু করে। ময়শ্চারাইজেশন না হলে এবং অতিরিক্ত দূষণের প্রভাবে গোড়ালি ফাটতে পারে। ফলে বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যা ময়শ্চারাইজার। তার জন্য টাকা খরচ করার কোনও প্রয়োজন নেই।
পেট্রোলিয়াম জেলি এবং লেবুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে। লেবুর রসে থাকা অ্যাসিড উপাদান ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। গোড়ালি ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখা যেতে পারে লেবুর রসে। তবে এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে পেট্রোলিয়াম জেলি। তবেই ত্বক ঝকঝকে থাকবে।
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতে দারুণ উপকারী নারিকেল তেল। ত্বকের আদ্রর্তা ধরে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত গোড়ালিতে নারিকেল তেল ম্যাসেজ করতে হবে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক বড় চামচ নারকেল তেল ফাটা গোড়ালিতে লাগিয়ে নিলেই উপকার পাওয়া যাবে। প্রয়োজনে মোজা পরে শোয়া যেতে পারে। এতে দ্রুত ফল পাওয়া যাবে।
ত্বকের ফেটে যাওয়া অংশ সারিয়ে তুলতে দারুণ উপকারী মধু। অ্য়ান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়। শীতকালে নিয়মিত গোড়ালিতে যদি মধু ব্যবহার করলে গোড়ালি ফাটার সমস্যা প্রতিরোধ করা যাবে। মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টি সেপটিক। ফলে ফাটা গোড়ালি সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
কলাও ত্বকের জন্য খুব উপকারী। দু’টো কলা ভাল করে চটকে গোড়ালির ফাটা অংশে লাগিয়ে রাখতে হবে। ১০ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেললেই অনেক উপকার পাওয়া যাবে। তবে সপ্তাহে অন্তত ৪বার এটা করতে হবে, তবেই দ্রুত ফল পাওয়া সম্ভব।