শেষ আপডেট: 3rd November 2024 17:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নভেম্বরের শুরু। শীত আসতে এখনও বেশ কয়েকটা দিন। তবে শীত আসুক আর না আসুক শীতের বায়ুদূষণ আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের বেহাল দশা এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন থেকেই ত্বক শুকিয়ে যাচ্ছে। স্নান সেরে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হচ্ছেই। নাহলেই ত্বকের খসখসে ভাব ঘুম কাড়ছে।
এক কথায় এই সময়টা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এখন থেকে যদি ত্বকের দেখভাল না করা হয়, তাহলে শীত আসার আগেই শুষ্কতা গ্রাস করবে গোটা শরীরকে। এখন থেকেই ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যায়। তাই এই মরসুমে ত্বকের হাল ফেরাতে কী করতে হবে রইল তারই ৩টি টিপস।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে গেলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। নিয়মিত মুখে, হাতে-পায়ে ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে। স্নানের সময় তেলও মাখা যেতে পারে। তবে, স্নান সেরে ৩ মিনিটের মধ্যেই ময়েশ্চারাইজার মেখে নিতে হবে। এতে শুষ্ক আবহাওয়ার মধ্যেও ত্বকের আর্দ্রভাব বজায় থাকবে।
ধীরে-ধীরে বাতাসে আর্দ্রতা কমছে। দূষণের মাত্রাও বাড়ছে। এতে ত্বক প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারাচ্ছে। এই সময় থেকে ত্বকের যত্ন না নিলে, চুলকানি, র্যাশের সমস্যা বাড়বে। এই অবস্থায় এই তিন উপায়ে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। ত্বককে ভাল রাখতে গেলে ডায়েটের উপর নজর দেওয়া জরুরি।
ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট গ্রহণ করা দরকার। এক্ষেত্রে কাজে আসে আমন্ড, আখরোট, কাজু, পেস্তা, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিডের মতো বাদাম ও বীজ। এগুলো ত্বককে ভাল রাখতে সাহায্য করে। এগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পাশাপাশি ভিটামিন ই, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এগুলো শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের দেখভাল করবে।
খুব প্রয়োজন ছাড়া এই সময় রোদে না বেরনোই ভাল। কারণ সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি শীতকালেও ত্বকের জেল্লা কেড়ে নিতে পারে। তাই এই মরসুমেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। অন্যদিকে, ঠোঁটের যত্ন নিতেও এসপিএফ যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করা যেতে পারে। আর এক্ষেত্রে বেছে নেওয়া যেতে পারে গ্লিসারিন, পেট্রোলিয়াম জেল ও এসপিএফ যুক্ত লিপবাম। প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করতে হবে।