
Abar Kanchenjunga: সত্যজিৎ রায়কে শ্রদ্ধা, ১৭ জন তারকাকে নিয়ে আসছে মেগা ছবি ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’র (Abar Kanchenjunga) কাহিনি ও পরিচালনা রাজর্ষি দে-র। পদ্মনাভ দাশগুপ্তের চিত্রনাট্যে পাহাড়ের প্রেক্ষাপটে নানা সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে এগিয়েছে এই গল্প। প্যাটেল ইউনিভার্সাল ওয়ার্ক স্টুডিও-র প্রযোজিত এই ছবির প্রযোজক হলেন শিল্পী এ পাণ্ডে এবং অক্ষত পাণ্ডে । ছবি রিলিজ করবে আগামী ১ এপ্রিল। তার আগে চরম ব্যস্ততার ফাঁকে পরিচালক রাজর্ষি দে দ্য ওয়ালের প্রতিনিধি চৈতালি দত্তকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিলেন। জানালেন ছবি সংক্রান্ত নানা কথা।
পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ ছবি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আপনি ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’ (Abar Kanchenjunga) ছবি পরিচালনা করেছেন কী?
রাজর্ষি : না, এটা সম্পূর্ণ মৌলিক গল্প নিয়ে ছবি। আমার লেখা কাহিনি এবং চিত্রনাট্য সংলাপ লিখেছেন পদ্মনাভ দাশগুপ্ত । প্রধানত আমরা একটা বেড়াতে যাওয়ার পারিবারিক গল্প বলতে চেয়েছি। আর যেহেতু দার্জিলিং হল আমাদের একটা নস্টালজিক ডেস্টিনেশন, সেই কারণে দার্জিলিঙে গল্পটা বলতে চেয়েছি। একটা পরিবার সকলে মিলে দার্জিলিঙে বেড়াতে গেছে। যেহেতু পুরো ঘটনা দার্জিলিঙকে কেন্দ্র করে এবং এই ছবিতে কাঞ্চনজঙ্ঘার একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে , তাই ছবি নামকরণের ক্ষেত্রে আর অন্য কোনও নাম মাথায় আসেনি।

মনে হয়েছে, ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’ নামটাই যুক্তিযুক্ত। তবে সত্যজিতবাবুর গল্পের সঙ্গে আমার ছবির গল্পের কোনও মিল নেই । মূল গল্পের যে চরিত্ররা আছেন তাঁরা কোনওভাবেই আমার ছবির গল্পে আসেন না। সত্যজিৎ রায় ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ ছবির ক্ষেত্রে যে যে জায়গায় শ্যুটিং করেছিলেন দার্জিলিঙে আমরাও অবিকল সেই জায়গাতেই শ্যুটিং করেছি । এটা আমাদের কাছে একটা স্মৃতি পরিদর্শন করার মতো। এছাড়া আলাদা করে কাঞ্চনজঙ্ঘা গল্পের সঙ্গে এই ছবির কোন মিল নেই।
সত্যজিৎ রায়ের অমর সৃষ্টি বহু ছবি আছে । তবে কী সেইসব কোনও ছবি আপনাকে অনুপ্রাণিত
করেছিল?
রাজর্ষি : দেখুন এই ছবিটা করতে আমাকে যে ক’টি ছবি অনুপ্রাণিত করেছে এবং গল্প ভাবতে সাহায্য করেছে সেটা অবশ্যই ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ একটি ছবি। এছাড়াও সত্যজিতবাবুর ‘শাখা-প্রশাখা’ এবং ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘উৎসব’ ছবি আমাকে প্রভাবিত করেছে। এই তিনটে ছবি বলা যেতে পারে ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা ‘ ছবির প্রেরণা। কোথাও এই তিনটে ছবি আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ভবিষ্যতে যদি আপনার কোনওদিন সুযোগ আসে তবে সত্যজিৎ রায়ের কোন ছবি আপনি করতে চান ?
রাজর্ষি : নায়ক যদি অটোগ্রাফ হতে পারে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এরকম যদি কোনও গল্প আমার মাথায় আসে সেক্ষেত্রে ‘জন অরণ্য’ ছবিটা নতুনভাবে করার আমার খুব ইচ্ছা রয়েছে।
যে তিনটি ছবি আপনাকে ‘ আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’ ছবিটি করতে অনুপ্রাণিত করেছে সেই ছবি তিনটির কোনও উপাদান আপনার ছবিতে রয়েছে কী ?
রাজর্ষি : অবশ্যই আছে। তিনটে ছবিতেই যৌথ পরিবারের দ্বন্দ্ব যা অবচেতনে দগদগে, সেই দগদগে ঘা গুলো যখন বেরিয়ে আসে তখনই পচনের বন্ধ বেরোতে শুরু করে সেই মিলটা এই ছবিতে রয়েছে।

সত্যজিৎ রায়ের ছবির মূল থিম ছিল আর্থিক এবং পারিবারিক অবদমন। আপনার ছবির মূল থিম কী?
রাজর্ষি : খানিকটা একই হলেও আমার ছবি যদি একেবারেই মূল থিম বলেন সেটা খুব ম্যাজিকাল এবং মিরাকেলের একটা ছবি। আমাদের জীবনে কখনও এমন কিছু ম্যাজিক ঘটে যায় যার জন্য আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি থাকে না । কিংবা আমরা আশাও রাখি না । কিন্তু সেটা কোনও জায়গায় গিয়ে ঘটে যায়। হয়তো সেই জায়গাটা আমাদের নিয়মিত পরিদর্শন করতে ইচ্ছে করে এই ভেবে যে ওখানে গিয়ে মিরাকেলটা হয়েছিল। সেই কারণে প্রতিবছর সেই জায়গায় আমরা আবারও যেতে চাই এই ভেবে আবার যদি মিরাকেল কিছু ঘটে। এটা সেরকমই এক অপ্রত্যাশিত ম্যাজিক এবং মিরাকেলের গল্প যা ছবির মূল থিম।
‘শাখা-প্রশাখা,’ ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’, ‘উৎসব’ তিনটি ছবির মধ্যে যে পারিবারিক অন্তর্দ্বন্দ্ব সেটার প্রভাব আপনার ছবির মধ্যে রয়েছে?
রাজর্ষি : প্রচণ্ড ভাবেই রয়েছে যা ছবি দেখলে বোঝা যাবে।

সেক্ষেত্রে আপনার মনে হয় না যে সত্যজিতবাবুর সঙ্গে একটা তুলনামূলক বিচার দর্শক করতে পারেন ?
রাজর্ষি : কেন সেটা হবে? আমি সত্যজিৎ বাবুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্থাৎ ট্রিবিউট জানাচ্ছি। সেখানে সমালোচনা বা তুলনামূলক বিচারের কোনও জায়গা নেই। কারণ আমার যদি কেউ আইডল থাকে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি সেই কাজটা করতেই পারি আমার মতো করে।
সত্যজিৎ বাবুর প্রথম কালার ছবি ছিল ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ , যা ইস্টম্যান কালারে শ্যুট করা হয় । ফলে ছবির কালার টোন ছিল ভীষণ আকর্ষনীয়। আপনার ছবিতে কালার টোনের প্রতি কতটা গুরুত্ব দিয়েছেন ?
রাজর্ষি : আমি আপনাকে একটু অন্যভাবে বলছি। সত্যজিৎ বাবুর কাঞ্চনজঙ্ঘা ছবিতে সারাক্ষণ কাঞ্চনজঙ্ঘা না দেখতে পাওয়ার আকুতি বা আর্তি ছিল। কিন্তু আমার ছবিতে সারাক্ষণই কাঞ্চনজঙ্ঘা দৃশ্যমান। কাঞ্চনজঙ্ঘা দৃশ্যমান থেকেও কিভাবে ম্যাজিক এবং মিরাকেল ঘটায় সেটা কিন্তু এই ছবির মূল উপজীব্য। এই ছবিতে এমন কালার টোন ব্যবহৃত হয়েছে যা খুবই স্নিগ্ধ। ছবির ডিওপি গোপি ভগত ।
তবে মেঘ এবং কুয়াশার আস্তরণে আপনার কাঞ্চনজঙ্ঘা ঢাকা পড়েনি ?
রাজর্ষি : একদমই তাই। সেটাই আমি বলতে চাইছি। কাঞ্চনজঙ্ঘা যত পরিষ্কার হচ্ছে ততই যেন পারিবারিক চরিত্রদের সম্পর্ক, অন্তর্দ্বন্দ্ব, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ ভেতরে জমে থাকা যে বহু দিনের দুঃখ, যন্ত্রণা, ক্ষোভ বিদ্বেষ রয়েছে তা বেরিয়ে পড়ে।
আপনার এবং সত্যজিতবাবুর দু’জনেরই ছবির প্রেক্ষাপট কিন্তু দার্জিলিং-
রাজর্ষি : একদম ঠিক তাই। কাঞ্চনজঙ্ঘা ছবিটি ১৯৬২ তে মুক্তি পায়। আমার ছবিতে পরিবারের যিনি বড় কর্তা তিনি কাঞ্চনজঙ্ঘা ছবি দেখেই সিদ্ধান্ত নেন যে দার্জিলিঙে একটি বাংলো কিনবেন। এটা ছবির ট্রেলারে রয়েছে।
দার্জিলিং এ কোন কোন জায়গায় ছবির শুটিং হয়েছে ?
রাজর্ষি : কেভেনটারস, মল, মহাকাল রোড, জলা পাহাড় রোড, ভিউ পয়েন্ট ,মল রোড, গভর্নরের বাড়ির সামনের রাস্তা ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় ছবির শ্যুটিং করেছি।
আপনার ছবি তো তারকা সমাবেশ। ১৭ জন তারকা আপনার ছবিতে অভিনয় করেছেন ।এটা কি চিত্রনাট্যের স্বার্থে ?
রাজর্ষি : হ্যাঁ আমি তো বড় যৌথ পরিবারের গল্প বলতে চেয়েছি। ‘উৎসব’ ছবি তে কিন্তু কম করে ১৪|১৫ জন তারকা ছিলেন। আমার পরের ছবিতে ১৯ জন তারকা আছেন।

আপনার এই ছবির ইউএসপি কি?
রাজর্ষি : প্রথমত : এটা একান্নবর্তী পরিবারের গল্প যা বাড়ির সকলকে নিয়ে বসে দেখার মতো। দ্বিতীয়ত: এটাতে বেড়াতে যাওয়ার গল্প রয়েছে। যাঁরা অনেকদিন বাড়িতে বসে আছেন বেড়াতে যেতে পারেননি তাঁদের কাছে দার্জিলিং দারুণভাবে স্ক্রিনে আসছে। এভাবে হয়তো আগে দার্জিলিঙকে বাংলা ছবিতে দেখা যায়নি। তৃতীয়ত হল এই যে ১৭ জন অভিনেতা একসঙ্গে অভিনয় করছেন এটাও ছবির ইউএসপি যা আগে হয়নি। আমার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এতটাই পাওয়ারফুল আমার তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে ভালো লাগছে।
গায়ক রূপঙ্কর বাগচী তো আপনার ছবিতে অভিনয় করেছেন ?
রাজর্ষি : এই ছবিতে উনি খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। নাটকে উনি অভিনয় করেন। কিন্তু এই ধরনের চরিত্রে এই প্রথম। খুবই ফ্যাসিনেটিং। একজন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়ক তিনি যে দুরন্ত একজন অভিনেতাও যা কাজ করতে গিয়ে আমি বুঝেছি । ওঁর যে শিল্পের প্রতি নিষ্ঠা সেইটা এই ছবিতে ভয়ঙ্কর ভাবে প্রকাশ পেয়েছে। অভূতপূর্ব ভাল অভিনয় করেছেন।
এত তারকা কে একসঙ্গে একটা ক্যানভাসে নিয়ে আসা কতটা ঝুঁকি ছিল ?
রাজর্ষি: অনেকে এঁদের মধ্যে আমার বন্ধু, বয়সে অনেক ছোট, অনেকেই হয়তো আবার আমাকে অনেক কম বয়স থেকে চেনেন সব মিলিয়ে আমি যেহেতু একেবারে পরিচালক সুলভ নই প্রথম দিন সবাই সেটে এসে সেটা বুঝে গিয়েছিলেন। আমার কাজের পরিবেশ খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। লকডাউন একেবারে শেষ হল তারপরেই আমরা ২০২০ নভেম্বর মাসে দার্জিলিং-এ শ্যুটিং করতে গেছি। ১৬ দিনের শিডিউল ছিল। দীর্ঘ সময় সকলে ঘরবন্দি অবস্থায় আমরা ছিলাম। তারপর দার্জিলিঙের মতো জায়গায় শ্যুটিং সেটা সকলের কাছেই খুবই রিফ্রেশিং ছিল । ছবি দেখলে বোঝা যাবে। প্রত্যেকে এত অসাধারণ কাজ করেছেন তার জন্য আমি খুব ধন্য ।
এত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মাঝে একজন পরিচালক হিসেবে কার কাজ আপনার কাছে বেশি ভালো লেগেছে ?
রাজর্ষি: আপনি তো বড্ড মুশকিলে ফেললেন। প্রত্যেকে নিঃসন্দেহে ভাল। বাংলা ছবিতে প্রথমবার এমন পোস্টার প্রকাশিত হয়েছে যেখানে একসঙ্গে ১৭ জন তারকাকে দেখা যাচ্ছে। সেটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই ১৭ জন তারকাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রিয়। আমি এমনও দেখেছি যাঁরা তারকা তাঁদের মুখ দিয়ে অনেকে ছবির পোস্টার করেন। তাই আমার ছবির পোস্টার করার সময় আমি বলেছিলাম যত অসুবিধায় হোক না কেন যেন ১৭ জন তারকা আমার পোস্টারে জায়গা পায়। এই ১৭ জনকে পাওয়াটাই আমার কাছে আশীর্বাদ। প্রত্যেকে দারুণ কাজ করেছেন। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক সেন এঁদের থেকে ভাল অভিনয় আমরা আশাই করি। কিন্তু আপনি যদি একজন তারকার নাম বলতে বলেন, অবশ্যই রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলব। রাহুল এই ছবিতে যে অভিনয় করেছেন আমার বিশ্বাস ওঁর অনেক ভাল কাজের মধ্যে এই কাজটিও সারা জীবন থেকে যাবে।
সত্যজিৎ বাবুর কাঞ্চনজঙ্ঘা ছবির গল্প ছিল একটা বিকেলের আর আপনার গল্প ক’দিনের?
রাজর্ষি : আমার গল্প ক্রিসমাসের। ২৩ থেকে ২৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ তিন দিনের গল্প। একটি পরিবার ক্রিসমাসের ছুটি তে দার্জিলিং ভ্রমণে গেছে।
ছবিতে গানের কতটা ভূমিকা রয়েছে?
রাজর্ষি : আমার ছবিতে যে চারটি গান রয়েছে তারমধ্যে দুটো রবীন্দ্রনাথের গান এবং দুটো অরিজিনাল । গান গেয়েছেন অনুপম রুপঙ্কর ,জয়তি , উজ্জয়িনী। গানের কথা লিখেছেন দূর্বা সেন । সুরারোপ করেছেন আশু চক্রবর্তী। শুধুমাত্র একটা গান লিপে আছে। বাকি তিনটে গান সিচুয়েশন্যাল।
ছবির গল্প যদি সংক্ষেপে একটু বলেন-
রাজর্ষি : একসময় ক্রিসমাসে একটি পরিবারের সকলে মিলে বেড়াতে যেত। তাঁরা বহুদিন বাদে আবার এত বছর পর ক্রিসমাসে সকলে মিলে দার্জিলিঙে বেড়াতে গেছে। সেখানে গিয়ে কী ম্যাজিকাল হয় সেটাই দেখার।
ছবির মাধ্যমে কোনও মেসেজ দিতে চেয়েছেন?
রাজর্ষি : প্রিয়জনদের আঁকড়ে ধরে থাকুন । তাঁদেরকে একা করে দেবেন না । পরিবারের মধ্যে দোলাচল , উত্থানপতন কিংবা টানাপোড়েন , দ্বন্দ্ব থাকতে পারে কিন্তু সবশেষে পরিবার কিন্তু পরিবারই হয়। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াটা কোনও কাজের কথা নয়। তার মধ্যে কোনও বীরত্ব নেই। বিজয়াতে হোয়াটসঅ্যাপে বড়দের প্রণাম জানালাম অথচ বাড়ির গুরুজন যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরকে প্রণাম করলাম না এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
আপনি প্রায় ২০ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত। জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলের প্রজেক্ট হেড থেকে আপনি ছবি পরিচালনা এবং লেখালেখি করছেন । জার্নিটা কেমন ছিল?
রাজর্ষি : খুব কঠিন এই জার্নিটা ছিল । আমি বিশ্বাস করি ছায়া দেখে কোনওদিনও ভয় পেতে নেই। আমি তাই কোনওদিন ভয় পাইনি। ছায়া যখন পড়ে তখন কাছাকাছি আলো আছে এই বিশ্বাসে এগিয়ে চলেছি । পিছনে ফিরে তাকালে মনে হয় সেই কাজের জগতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য ছিল। কিন্তু এখন কাজের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। সব সময় মনে হয় কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বিশ্রাম নিতে ভাল লাগে না।