অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের ঘরের মাঠে আয়োজিত ফাইনালের প্রথমার্ধে ৪২ মিনিটের মাথায় ম্যাচের একমাত্র গোল করেন ব্রেনান জনসন৷ এই জয়ের সুবাদে আগামী মরশুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে (Champions League) নামার ছাড়পত্র পেল লন্ডনের ক্লাব।
টটেনহ্যাম হটসপার
শেষ আপডেট: 22 May 2025 10:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বেশ কয়েক মাস আগে যখন তিনি প্রবল চাপে, সাংবাদিকরা চাঁচাছোলা প্রশ্নে নাজেহাল করে ছাড়ছে, তখন টটেনহ্যাম হটসপারের (Tottenham Hotspur) ম্যানেজার অ্যাঞ্জ পস্তেকগলু (Ange Postecoglou) বুক বাজিয়ে ঘোষণা করেন—‘আমি সাধারণত নয়, প্রতিবার দ্বিতীয় মরশুমে ট্রফি জিতি’।
এর আগে যতগুলো ক্লাবের দায়িত্বে ছিলেন, সেকেন্ড সিজনে খেতাব জিতেছেন। টটেনহ্যামের কুর্সিতে এটা দু'নম্বর মরশুম। দল প্রিমিয়ার লিগে ১৭তম স্থানে। সমস্ত ঘরোয়া টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের (Manchester United) বিরুদ্ধে ইউরোপা লিগের ফাইনালে (Europa League Final) নামে টটেনহ্যাম। যাদের শেষ মেজর ট্রফি জয় ২০০৮ সালে (ইংলিশ লিগ কাপ)। শেষ ইউরোপীয় খেতাব এসেছিল ১৯৮৪ সালে৷ তারপর থেকে শুধুই হতাশা আর যন্ত্রণা। এরই পরিণতিতে ক্লাবের তারকা ফুটবলার হ্যারি কেনকে (Harry Kane) শুধু ট্রফি জেতার তাড়নায় বায়ার্ন মিউনিখে (Bayern Munich) যোগ দিতে হয়!
গত বছর দল ছেড়েছিলেন হ্যারি। এ বছর ইউরোপা লিগ জিতল টটেনহ্যাম৷ মুখের কথা কাজে করে দেখালেন পস্তেকগলু। অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের ঘরের মাঠে আয়োজিত ফাইনালের প্রথমার্ধে ৪২ মিনিটের মাথায় ম্যাচের একমাত্র গোল করেন ব্রেনান জনসন৷ এই জয়ের সুবাদে আগামী মরশুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে (Champions League) নামার ছাড়পত্র পেল লন্ডনের ক্লাব।
গতরাতের ম্যাচ ছিল প্রিমিয়ার লিগের ১৬তম বনাম ১৭তম টিমের লড়াই। ফলে দ্বৈরথের গুণগত মান তেমন থাকবে না, এমনটাই আশা করেছিলেন বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ। প্রথমার্ধের খেলা দেখে বোঝা যায়, তাঁদের অনুমানই ঠিক। কোনও দলই সেভাবে গোলের সুযোগ বের করতে পারেনি। লড়াই ছিল পঞ্চাশ-পঞ্চাশ।
সুবর্ণ সুযোগ আসে ৪২ মিনিটে। পায় টটেনহ্যাম। বাম উইং থেকে ভাসানো ক্রস জালে জড়িয়ে দলকে এগিয়ে দেন জনসন৷ দ্বিতীয়ার্ধে ঝাঁজ বাড়ায় ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু গোলমুখী আক্রমণ সেভাবে দানা বাঁধেনি। ৬৮ মিনিটে রাসমুস হইল্যান্ডের হেডার গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন টটেনহ্যাম ডিফেন্ডার মিকি ভ্যান দি ভেন। সংযুক্ত সময়ে লুক শ-র দুরন্ত হেডার দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায় বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক ভিকারিও। ম্যান ইউয়ের সুযোগ বলতে এটাই।
লজ্জার মরশুমের সম্মান বাঁচাতে ম্যানেজার রুবেন আমোরিমকে এই ফাইনাল জিততেই হত। কিন্তু তিনি প্রথম সিজনে মসনদে বসে দলকে ট্রফি জেতাতে ব্যর্থ হলেন। ২০১৭ সালে জোসে মোরিনহো যখন দায়িত্বে, তখন এই ইউরোপা লিগ জিতেছিল রেড ডেভিলরা। সেটাই ছিল ম্যান ইউয়ের শেষ ইউরোপীয় খেতাব।