ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রথম গোলটা করলেন হিজাজি মাহের
শেষ আপডেট: 17 December 2024 15:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম পঞ্জাব এফসি ম্যাচ। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এই ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়লেও, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তারা স্বপ্নের কামব্যাক করল। ইতিমধ্যে তারা ৩-২ গোলে এগিয়ে গিয়েছে।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতে না হতেই দুর্দান্ত একটি সুযোগ মশালবাহিনীর কাছে এসেছিল। সেট পিস সিচুয়েশন থেকে একটি নিখুঁত ক্রস বাড়িয়েছিলেন ক্লেইটন সিলভা। আর সেই ভাসানো বলেই মাথা ঠেকালেন হিজাজি। বলটা টপ লেফট কর্নার দিয়ে পঞ্জাবের গোলে জড়িয়ে যায়।
সঙ্গে সঙ্গে গর্জে উঠল গোটা সল্টলেক স্টেডিয়াম। আর আনন্দের রেশ জিইয়ে রেখেই ৫৩ মিনিটে সমতা ফেরাল ইস্টবেঙ্গল। গোল করলেন পিভি বিষ্ণু। তাঁর বাঁ পায়ের শট টপ লেফট কর্নার দিয়ে ঢুকে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে যেন এক আলাদা ইস্টবেঙ্গলকে দেখা যাচ্ছে।
অবশেষে ৫৯ মিনিটে লিড নিল ইস্টবেঙ্গল এফসি। প্রথমার্ধে যে দলটা ০-২ গোলে পিছিয়ে ছিল, তারা যে এমন রূপকথা লিখবে, সেটা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। তবে তৃতীয় গোলটি কিন্তু, পঞ্জাব এফসি-র আত্মঘাতী গোল ছিল। সুরেশ মেইতেইয়ের ভুলে এগিয়ে গেল লাল-হলুদ ব্রিগেড।
এই ম্যাচের শুরু থেকেই পঞ্জাবের আক্রমণ চোখে পড়ার মতো ছিল। চোখের নিমেষে লাল-হলুদের ডিফেন্স একাধিকবার ছিন্নভিন্ন করেছে। ২০ মিনিটে আসে পঞ্জাবের প্রথম গোল। আসমির সুলজিচের ডান পায়ের শট লাল-হলুদ ব্রিগেডের মাথা ব্যথা বাড়ায়। এই গোলের ক্ষেত্রে অ্যাসিস্ট করেছিলেন এজিকুয়েল ভিদাল।
৩৮ মিনিটে ভিদাল নিজেই লিড বাড়ালেন। কঠিন একটি অ্যাঙ্গেল থেকে তাঁর বাঁ-পায়ের শট টপ লেফট কর্নার দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়িয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আদৌ কামব্যাক করতে পারে কি না, সেটাই দেখার।
একটা বিষয় আপনাদের মনে রাখতেই হবে যে ইস্টবেঙ্গলের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার এই ম্যাচে খেলছেন না। কেউ চোটে আক্রান্ত, কেউবা কার্ড সমস্যায় জর্জরিত। ওড়িশার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন মাদিহ তালাল। তালালের অভাব ইস্টবেঙ্গল একেবারেই পূরণ করতে পারেনি। খেলতে নামেননি দিয়ামান্তাকোসও। সবমিলিয়ে ইস্টবেঙ্গলের সেই পুরনো ব্যর্থতার ছবিটা আরও একবার ফিরে আসছে, এমন আশঙ্কাই করছে মশালবাহিনী।