ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে বায়ার্নের আগে কোনও দল দশ গোলে জিততে পারেনি। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোল করা আর সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়েছে বায়ার্ন।
বায়ার্ন মিউনিখ
শেষ আপডেট: 16 June 2025 06:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুরু হয়েছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ফুটবল (FIFA Club World Cup)। আর প্রথম দিনই বিপক্ষকে গোলের মালা পড়াল জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ (Bayern Munich)। নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড সিটিকে তারা হারাল ১০-০ গোলে। বড় জয় পেয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী পিএসজিও (PSG)। ফরাসি এই ক্লাব ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছে স্পেনের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে (Atletico Madrid)। তবে লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামি (Inter Miami) আটকে গিয়েছে (০-০) আল আহলির কাছে।
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে বায়ার্নের আগে কোনও দল দশ গোলে জিততে পারেনি। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোল করা আর সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়েছে বায়ার্ন।
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে এর আগে কোনও দল ৬ টির বেশি গোল করতে পারেনি। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ জয়ের ব্যবধান ছিল পাঁচ গোল। এই দুই রেকর্ডই ভেঙে দিয়েছে জার্মান ক্লাব। এই দুই রেকর্ড এত দিন ছিল সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালের দখলে। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ক্লাব আল জাজিরার বিপক্ষে ৬-১ গোল জিতেছিল আল হিলাল, অর্থাৎ গোলের ব্যবধান ছিল ৫।
অকল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে পরিবর্ত হিসাবে নেমে হ্যাটট্রিক করেছেন বায়ার্নের জামাল মুসিয়ালা। এ ছাড়া দু’টি করে গোল করেছেন কিংসলে কোম্যান, মিশেল ওলিসে ও টমাস মুলার। সাচা বোয়ে করেছেন একটি গোল। প্রথমার্ধেই ৬-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বায়ার্ন। তবে শক্তির দিক থেকে নিউজিল্যান্ডের দলটি ছিল অনেকটাই পিছিয়ে। এই দলের সবাই পেশাদার ফুটবলারও নন, কেউ ট্রাক চালান, আবার কেউ অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত।
ম্যাচে বায়ার্নের বল দখল ছিল ৭২ শতাংশ। গোল লক্ষ্য করে ৩৩টি শট নেয় তারা, লক্ষ্যে রাখতে পারে ১৭ টি, এর মধ্যে ১০ টিতে গোল পেয়েছে। এর বিপরীতে ২৮ শতাংশ বল দখল রাখা অকল্যান্ড গোল লক্ষ্য করে দু’টি শট নিয়ে একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে।
এদিকে মিশরের ক্লাব আল আহলির কাছে আটকে গিয়েছে ইন্টার মিয়ামি। ম্যাচে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। তবে পেনাল্টি বাঁচিয়ে এই ম্যাচে মিয়ামির হার বাঁচিয়েছেন দলের ৩৮ বছর বয়সি আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক অস্কার উসতারি।
প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতার পর আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছে পিএসজি। তারা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে উড়িয়ে দিয়েছে ৪-০ গোলে। ৯ মিনিটে পিএসজিকে এগিয়ে দেন ফ্যাবিয়ান রুইজ। প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে ব্যবাধান দ্বিগুণ করেন ভিতিনহা। ৮৭ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন সেন্নি মায়ুলু। এরপর সংযোজিত সময়ে (৯৭ মিনিট) পেনাল্টি থেকে গোল করে মাদ্রিদের ক্লাবের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন লি কাং-ইন।