শেষ আপডেট: 27th September 2024 14:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কর্পোরেট নগরীতে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে গ্লাস রুফটপ ক্যাফে 'সেরা।' চারিদিকে কংক্রিটের দেওয়াল দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে গেলে ঢুঁ মারাই যায় সবুজে ঘেরা এই ক্যাফেতে। আর পুজোর জন্য এবার তারা নিয়ে হাজির হয়েছে 'শারদীয়া সেরা আড্ডা।' বন্ধুদের সঙ্গে বা পরিবারকে নিয়ে জমিয়ে আড্ডা ও খাওয়া দাওয়ার জন্য এবার আপনার পছন্দের ডেস্টিনেশন হতে পারে সেক্টর ফাইভের এই ক্যাফে।
ক্যাফে মানেই বিদেশি কুইসিন নিয়ে কাটাছেঁড়া। ভিন্ন স্বাদ, হরেক রকম খাবারের পদে হরেক রকম টুইস্ট। ক্যাফেতে বাঙালি খাবারের রসনা তৃপ্তি বিরল। কিন্তু পুজোর সঙ্গে বাঙালি খাবার ওতপ্রত ভাবে জড়িত। তাই খাদ্যপ্রেমীদের নিরাশ করেনি এই ক্যাফে। বাঙালি খাবার একটু অন্যরকম ভাবে পরিবেশ করতে চলেছে তারা।
প্রথমেই আপনার সন্ধের আড্ডার সঙ্গী হতে পারে 'ডাবের মোহিতো'। রাতের খাবারে 'প্রথম পাতে' থাকতে পারে পনীর শাওয়ারমা স্যালাড সঙ্গে কাঁচা মরিচ দিয়ে মুরগীর স্যালাড। নিরামিষ আহারও থাকছে মেনুতে। স্টিকি কফি পনীর, রোসমেরি ম্যারিনেটেড বেবি তন্দুরি আলু, অরেঞ্জ বেসিল চিকেন কাবাব, হানি চিলি গন্ধরাজ লেমন ফিশ।
শুধু স্ন্যাক্স দিয়েই মন ভরবে এমন নয়। পুজো মানেই কবজি ডুবিয়ে খাওয়া। তাই স্ন্যাক্স শেষে 'ডাব মালাই পনীর', 'বেগুন বাসন্তী', 'নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল' মিস করা যাবে না। পাশে রাখা যেতে পারে 'ঢাকাই মাটন চেহারি', 'ধনেপাতা কাঁচা লঙ্কা পাবদা'। এগুলো কী শুধু শুধু খাবেন? না, ঠাকুর বাড়ির পোলাও দিতে পারে যোগ্য সঙ্গত।
এখানেই শেষ নয়। শেষ পাতে মিষ্টি কিন্তু মাস্ট। 'মিষ্টির মেলবন্ধন' -এ আমের চাটনি, বেকড ল্যাংচা, ভাজা পাপড়, সীতাভোগ থাকছে পুজো ক'দিন। সঙ্গে গুড়ে পায়েস ও আমের আইসক্রিম থাকছে মিষ্টি প্রেমীদের জন্য।
এই গোটা আড্ডার মেনু তৈরিতে রয়েছে কর্ণধার কমলিনী পালের নৈপুণ্য। তিনি এবিষয়ে বলেন, 'বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধনে এই পুজো উদযাপন করবে সেরা ক্যাফে। সেই সূত্রেই শারদীয়া সেরা আড্ডার আত্মপ্রকাশ।'
এই মেনুর লঞ্চে সম্প্রতি উপস্থিত ছিলেন হিডকোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন ও নেপাল দূতাবাসের আধিকারিক জনক রাজ ভট্ট।