শেষ আপডেট: 2nd October 2024 18:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আজ মহালয়া। পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। জাঙ্ক ফুড দিয়ে ভুড়িভোজের পাশাপাশি এই সময় অনেকেই নস্টালজিয়ায় ডুব দেয়। বনেদি বাড়ির মতো বছরের পাঁচটা দিন আয়েশ করে বাঙালি খাবারের স্বাদ চেটেপুটে নেয় এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। মাটন, চিকেন, মোমো, কাটলেটের মতো আমিষ খাবার তো মাস্ট হ্যাভ। কবজি ডুবিয়ে খাওয়া হয় নিরামিশ আহারও। বাঙালিরা আজও পুজোর এই সব আহারে খুঁজে পায় ছেলেবেলা..
খিচুড়ি
অষ্টমীতে অঞ্জলি সেরে বাড়ি ফিরেই ছেলেবেলার অপেক্ষা ছিল পাড়ার খিচুরি। বাড়ি বাড়ি শাল পাতায় খিচুরি আর লাবড়া নিয়ে হাজির হতেন ক্লাবের লোকজন। খিচুড়ি আজও সমান জনপ্রিয় সকলের কাছে। যতই পিৎজা, বার্গার আসুক, অষ্টমীর খিচুড়ি এখনও প্রথম পছন্দ বাঙালিদের।
লুচি
লুচি ছোলার ডাল অষ্টমীর মাস্ট হ্যাভ ব্রেকফাস্ট। অঞ্জলি দিয়ে পাড়ায় লাইন দিয়ে লুচি ছোলার ডাল খাওয়া নস্টালজিয়াই বটে। শহরের বাইরে থাকলে সবচেয়ে এই সময়টাই মিস করে বাঙালিরা।
সন্দেশ
বনেদি বাড়িতে আজও সন্দেশ সহ মা দুর্গাকে নিবেদন করা সব মিষ্টি ঘরেই বানানো হয়। ছাঁচের নারকেল সন্দেশের জন্য বহু অপেক্ষা থাকত। এই মিষ্টি এখন দোকানে পাওয়া গেলেও বাজবাড়িতে গিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। সন্দেশ আজ শুধু বনেদি বাড়ি নয়, খাদ্যরসিক বাঙালিরা পুজোয় আড্ডা জমাতেও সন্দেশ সহ স্ন্যাক্স বাড়িতে বানিয়ে থাকেন।
পায়েস
গোবিন্দ ভোগের চাল দিয়ে পায়েস। এ স্বাদের ভাগ হবে না। ঘিয়ে মাখানো চাল দুধে দিলেই যে রঙ আর গন্ধ উঠে আসে, তা পুজোর যেকোনও দিনের পারফেক্ট। পায়েসও অষ্টমীর দিন অনেকেই খিচুড়ির সঙ্গে পরিবেশন করে।
ঘি ভাত
গরম ধোঁয়া ওঠা ভাত সঙ্গে ঘি কাঁচা লঙ্কা। রোজকার খাবারের তালিকায় থাকলেও পুজোয় যেকোনও খাবারের আগে এই কম্বিনেশন থাকলে কেল্লাফতে। পুজোয় যে কোনও বাঙালি রেস্তরাঁয় এই খাবার থাকে।