
মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলার পূর্বাভাস ছিলই, ডিজিকে সরানোর পরের দিনই আক্রমণ: কমিশনে তৃণমূল
গত মঙ্গলবারই বীরেন্দ্রকে রাজ্য পুলিশের ডিজি-র পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন। তার আগে এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদ থেকে সরানো হয়েছিল জ্ঞানবন্ত সিংকে। এদিন পার্থ বলেন, “আগে এডিজিকে সরানো হল। তারপর ডিজিকে সরাল কমিশন। রাষ্ট্রের একটা জঘন্য প্রচেষ্টা চলছে। ঠিক তার পরের দিনই মুখ্যমন্ত্রীর উপর আক্রমণ হল।”
শাসকদলের আরও অভিযোগ, দায়িত্ববান পুলিশ অফিসারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। এমনই পরিস্থিতি যে, তাঁরা বিপদের দিনে পাশে দাঁড়াতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রীর। ভোট ঘোষণার পর থেকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব কমিশনের। কিন্তু বাংলায় রাষ্ট্রবাদের এক নতুন উদ্যোগ শুরু হয়েছে। তৃণমূলের মহাসচিব আরও বলেন, “বিজেপির প্রতিনিধিরা যা বলছেন কমিশন তেমন তেমন করছে। যা নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও দক্ষতাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে।”
যদিও বিজেপির তরফে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করা হয়েছে। শমীক ভট্টাচার্য, অর্জুন সিংরা স্পষ্ট করে বলেছেন, প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবলয়ের ব্যবস্থা করা হোক। ইতিমধ্যেই গতকালের ঘটনা নিয়ে নন্দীগ্রামে মামলা রুজু হয়েছে। তৃণমূল নেতা তথা মমতার নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।