
বাংলায় সন্ত্রাস নিয়ে নবান্নে কেন্দ্রীয় টিম, ফিরহাদ বললেন, ‘টিম না পাঠিয়ে টিকা পাঠাক’
এদিন নবান্নে পৌঁছে রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যরা। তবে কোথায় কোথায় তাঁরা পরিদর্শনে যাবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বাংলায় কেন্দ্রীয় টিম পাঠানো নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, “টিম না পাঠিয়ে কোভিডের টিকা পাঠাক। হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। দু’চার জনের জন্য প্রাণ কাঁদছে আর এত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে তাতে কোনও গা নেই!” তিনি আরও বলেন, “বাংলায় কোনও সন্ত্রাস হচ্ছে না। দু’চারটে ঘটনা ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী কড়া হাতে তার মোকাবিলা করেছেন। যে যোগ্য অফিসারদের কমিশন সরিয়ে দিয়েছিল, তাঁদের আবার দায়িত্ব ফিরিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
ইতিমধ্যেই সন্ত্রাস নিয়ে নবান্নকে দ্বিতীয় চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। তিনি চিঠি লিখে বলেছেন, “গত ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষিত হয়। তারপর থেকেই রাজ্যে হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে। বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছে। উঠেছে খুনের অভিযোগও। এই ব্যাপারে রিপোর্ট চেয়ে ৩ তারিখে রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিন্তু আজ অবধি কোনও রাজ্যের তরফে কোনও রিপোর্ট পেশ করা হয়নি বলেই অভিযোগ। স্বরাষ্ট্রসচিব বলেছেন, “প্রথম চিঠির উত্তর পাইনি। এটা আমার দ্বিতীয় চিঠি। মনে করিয়ে দিতে চাই রাজ্যে যে হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে সে ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ না করা হলে বিষয়টা আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।”
রবিবার ভোট গণনার পর রাত থেকেই রাজ্যের একাধিক প্রান্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। পরদিন থেকে সংঘর্ষের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তৃণমূল বিজেপি হাতাহাতির খবর আসতে থাকে বারবার। বিরোধীদের অভিযোগ, ফল প্রকাশের পর থেকেই বল্গাহীন সন্ত্রাস চালাচ্ছে শাসক দল তৃণমূল। কোথাও পার্টি অফিসে ভাঙচুর করছে, জ্বালিয়ে দিচ্ছে। কোথাও কর্মীদের মারধর করছে। এমনকি ইতিমধ্যে ৬ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা নিয়ে অভিযোগ জানাতে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখাও করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও রাজ্যপালকে ফোন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।