
এই ভারতীয় দলকে নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। তারা টুর্নামেন্টের শুরুতে চাপে ছিল। কোচ ইগরের চাকরি যেতে বসেছিল। প্রবল সমালোচনার মুখে দারুণ প্রত্যাবর্তন ঘটল সুনীল ছেত্রীদের।
আরও পড়ুন: ধোনি বাবা হচ্ছেন আবার! রায়নার স্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে নেট মাধ্যমে জোর চর্চা
এদিন ম্যাচে শুরু থেকেই চ্যাম্পিয়নের মতো খেলেছে ভারতীয় দল। প্রথম গোল পেতে খানিক দেরি হয়েছে। বিরতিতে ম্যাচের ফল ছিল গোলশূন্য। ভারতের প্রথম গোল আসে ৪৯ মিনিটে। সুনীল ছেত্রীর গোলে ১-০ এগিয়ে যায় ভারত। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের ৮০তম গোল করে লিওনেল মেসিকে ছুঁলেন ছেত্রী। প্রীতম কোটালের ক্রস থেকে হেডে গোল করেন ছেত্রী।
নেপালের বিপক্ষে ফাইনালে গোল করতে চলেছেন সুনীল। মেসিকে স্পর্শ করলেন তিনি।
৫০ মিনিটে সুরেশ সিংয়ের গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে ২-০ করে ভারত। ইয়াসিরের ক্রসে পা ছুঁয়ে নেপালের জালে বল জড়িয়ে দেন সুরেশ। ৫২ মিনিটে আরও একটি গোল করার সুযোগ পেয়েছিল ভারত। যদিও নেপাল ভারতের আক্রমণ প্রতিহত করে।
Champions!! 🚨🚨@IndianFootball march to a record-extending 8th #SAFFChampionship title after beating #Nepal 3-0 in the final. 💥💥
🇮🇳 3-0 🇳🇵 pic.twitter.com/yYIi76FRGB
— Khel Now (@KhelNow) October 16, 2021
৮৬ মিনিটে পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামেন আব্দুল সামাদ। ৯০ মিনিটে তিনি গোল করে ভারতকে ৩-০ এগিয়ে দেন।
যদিও চলতি টুর্নামেন্টে স্বপ্নের ফর্মে বিরাজ করেছেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। তিনি এর আগে পেলেকে টপকে গিয়েছিলেন, এদিন আরও একটি গোল করে মেসিকে স্পর্শ করলেন। দুইজনই মোট ৮০টি গোল করেছেন দেশের হয়ে। সুনীলের জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।
ভারত সবথেকে বেশি মোট ৮ বার সাফ চ্যাম্পিয়ন হল। তারা শেষবার খেতাব জেতে ২০১৫ সালে। ২০১৮ সালের শেষ আসরে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে দেয় মালদ্বীপ। নেপাল যদিও প্রথমবার সাফ কাপের ফাইনাল খেলেছে।
মুখোমুখি লড়াইয়ে একতরফা আধিপত্য দেখিয়েছে ভারতই। আজকের ম্যাচের আগে পর্যন্ত দু’দেশ মোট ২১ বার একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিল। ভারত জিতেছে ১৫টি ম্যাচ। নেপাল জিতেছে মাত্র ২টি। ৪টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। আবারও জেতায় ভারতের জয়ের সংখ্যা হল ১৬।
উল্লেখ্য, এর আগে ভারত সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় ১৯৯৩, ১৯৯৭, ১৯৯৯, ২০০৫, ২০০৯, ২০১১ ও ২০১৫ সালে। রানার্স হয় ১৯৯৫, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে।
ভারত: গুরপ্রীত সিং সাঁধু, চিংগ্লেনসানা, রাহুল ভেকে, প্রীতম কোটাল, মান্দার রাও দেশাই, সুরেশ সিং, অনিরুদ্ধ থাপা (জ্যাকসন), রালতে, মহম্মদ ইয়াসির, সুনীল ছেত্রী (আব্দুল সামাদ) ও মনবীর সিং (রহিম আলি)।
নেপাল: কিরণ কুমার লিম্বু, দীনেশ রাজবংশী, অনন্ত তামাং, গৌতম শ্রেষ্ঠ, সুমন আরিয়াল, তেজ তামাং, সুজল শ্রেষ্ঠ, সুমন লামা, পুজন আপারকোটি, নবযুগ শ্রেষ্ঠ ও রোহিত চাঁদ।
পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা ‘সুখপাঠ