
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গুজরাত দাঙ্গা (Gujarat Riot) নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রে কেন্দ্রীয় সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তারপর কেরলে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যজুড়ে ওই তথ্যচিত্র দেখানোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে বাংলার বাম ছাত্র-যুবরা কী ভাবছে সেই প্রতিবেদন মঙ্গলবার দুপুরে দ্য ওয়ালে প্রকাশিত হয়েছিল। বেশি রাতে নির্দিষ্ট কর্মসূচি ঘোষণা করে দিল এসএফআই।
সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের প্রেসিডেন্সি কলেজ ইউনিট সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২৭ জানুয়ারি তা প্রদর্শিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ব্যাডমিন্টন কোর্টে বিকেল চারটের সময় বিবিসি নির্মিত ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ দেখানো হবে।
এমনিতেই প্রেসিডেন্সিতে (Presidency College) ছাত্র সংসদ নির্বাচন, মাতৃভাষায় পরীক্ষা দেওয়ার অধিকার সুনিশ্চিত করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান করছে এসএফআই। তার মধ্যেই এই কর্মসূচি ঘোষণা করল তারা।

বিবিসি যদিও তথ্যচিত্রটি ভারতে রিলিজ করেনি। বিবিসি টু চ্যানেলে সেটি ইউরোপ, আমেরিকা সহ বিশ্বের বহু জায়গায় রিলিজ করেছে। কিন্তু ইন্টারনেটের উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে এদেশে অনেকেই ইউটিউবে তথ্যচিত্রটি দেখেছেন। সেটির লিংক শেয়ার করেছেন।
‘দিদির দূত’ কি আসলে ছাঁকনি? পঞ্চায়েতের টিকিট ওজন হবে গণক্ষোভের দাঁড়িপাল্লায়
কেন্দ্রীয় সরকার গত রবিবার তথ্য প্রযুক্তি আইনের ধারা উল্লেখ করে বলে, ভারতের ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে ওই তথ্যচিত্রের সমস্ত লিঙ্ক মুছে দিতে হবে । লিঙ্ক শেয়ার করাও বেআইনি, জানানো হয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়।
মঙ্গলবার দ্য ওয়ালকে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেছিলেন, তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনের ব্যাপারে আলোচনা চলছে। দেখা গেল বেশি রাতে তাঁদের সংগঠনের প্রেসিডেন্সি ইউনিট সেই কর্মসূচি ঘোষণা করে দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মঙ্গলবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংগঠন পরিচালিত ছাত্র সংসদ এই তথ্যচিত্রের স্ক্রিনিং আয়োজন করেছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ফলে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় ক্যাম্পাসে।
প্রেসিডেন্সির ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের এ হেন ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে গেরুয়া শিবির কী করবে সেদিকেও নজর থাকবে শুক্রবার।