
কমিশন সব রকম চেষ্টা করছে তৃণমূলের মনোনয়ন বাতিলের, অভিযোগ পার্থর
পুরুলিয়ার জয়পুরের তৃণমূল প্রার্থী উজ্বল কুমারের মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছিল কমিশনে। স্ক্রুটিনির পর ওই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই উজ্বল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। গতকাল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ বলে, মনোনয়ন পত্রে তারিখ ভুল ছিল। সেটা এমন কোনও বড় ব্যাপার নয়। মনোনয়ন গ্রহণ করার নির্দেশ দেয় আদালত। শুক্রবার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে কমিশন।
গতকাল সকালে নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে নন্দীগ্রামে মমতার উপর ‘আক্রমণ’ নিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছিল তৃণমূল । তাতে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে কমিশনের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছিল শাসকদল। তা নিয়ে গতকাল রাতে কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়, “স্মারকলিপিতে কমিশনের বিরুদ্ধে যে ধরনের ইঙ্গিত ও মন্তব্য করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনের মৌলিক নীতির বিরুদ্ধেই তা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।”
এদিন কমিশনের সেই প্রতিক্রিয়ার পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল। পার্থবাবু বলেন, “নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ও কর্মসূচি রয়েছে সবাই জানত। তারপরেও নির্বাচন কমিশন কি দায়িত্ব পালন করেছে? সেই প্রশ্ন আমাদের বরাবর থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “দু’জন বড় পদাধিকারীকে সরানো হল। নিরাপত্তায় গলদ ছিল। তাই কমিশনের থেকে আমরা উত্তর চেয়েছি, কারণ আমাদের নেত্রীর উপর আক্রমণ হয়েছে।”