
অমিত শাহর উদ্দেশে মমতা, ‘আর চারটে বাকি রাখল কেন?’
রবিবার দুপুরে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, শনিবার বাংলায় যে ৩০ টি আসনে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ হয়েছিল, তার মধ্যে ২৬ টি আসনেই জিতবে বিজেপি। অমিত শাহর এও দাবি, তাঁর কথাই ঠিক হতে চলেছে। বাংলায় একাই দু’শ আসন পার করবে পদ্মফুল।
এ সব ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জবাব দিতে কখনও দেরি করেননি। এদিনও অন্যথা হয়নি। রবিবার বিকেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে। সেখানে তিনি বলেন, “একটা মানুষের লজ্জা থাকা উচিত। গতকাল ৩০টা সিটে ভোট হয়েছে। আমাকে কেউ জিজ্ঞেস করেন, আপনি বলুন কটা সিট পাবেন? আমি কী করে বলব! আমি কি মেশিনের মধ্যে ঢুকে গিয়ে বলব! তা তো পারি না। আন্দাজে বলতে পারি, ৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছে তার মানে আমাদের পক্ষে মা-বোনেরা ভোট দিয়েছেন।”
এর পরই দিদি বলেন, “বিজেপির এক নেতা আজ বলেছেন, ৩০টার মধ্যে ২৬টা পাব। আরে ৩০টার মধ্যে৩০টাই বলো না! তা হলে তো গোল্লা বেশি হবে! আর চারটেই বা বাকি রাখলে কেন? ওটা কি সিপিএম, কংগ্রেসের জন্য রেখেছ? রসগোল্লা খাবে। রস ছাড়া রসগোল্লা।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য অমিত শাহর মতো কোনও পূর্বানুমান করতে চাননি। তিনি বলেন, “আমাকে কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন, তা হলে আমি এরকম বলব না। মানুষ বলবে। আমরা লোকসভা ভোটে যে জায়গাগুলোয় পিছিয়ে ছিলাম, সেখানে ভাল ফল হবে। নইলে সেন্ট্রাল পুলিশ দিয়ে কাল কেন মেরেছে কাঁথিতে! মাস্ক পরে নেই বলে ভোট দিতে দেবে না। কে ক্ষমতা দিল এতটা।”
বস্তুত ধারাবাহিক ভাবেই নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সে ব্যাপারে আবার জবাবও দিয়েছেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, তৃণমূল ভোট লুঠ করতে পারছে না বলেই হতাশ হয়ে পড়েছে। সেই হতাশা থেকে এ সব কথা বলছে। বাংলার মানুষ তাও বুঝতে পারছে।