Latest News

ইস্টবেঙ্গল সঙ্কটে মমতার হস্তক্ষেপ, বুধবার নবান্নে ডাক ক্লাব, শ্রী সিমেন্টকে

দ্য ওয়াল ব্যুরো: সমাধান সূত্র বেরতে পারে, তেমনই ইঙ্গিত মিলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার নবান্নতে বৈঠকে ডাকলেন ইস্টবেঙ্গল ও ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষকে। কারণ লাল হলুদের চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিনই এই নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছিলেন, শেষ মুহূর্তে ইনভেস্টর ইস্টবেঙ্গলের ওপর থেকে হাত সরিয়ে নিতে চায়, তাই আমাদের সকলের ইস্টবেঙ্গলের পাশে থাকা উচিত।

কেন কী কারণে এই বিতর্ক, তিনি সবটাই জানেন। তারপরেও বুধবার বৈঠকে সব বিষয়ে খোঁজ নেবেন মমতা। তিনি এতদিন লাল হলুদ কর্তাদের ওপর তুষ্ট ছিলেন না। কিন্তু সোমবার দুপুরে বাঙুর গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে ই-মেল করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা স্পোর্টিং রাইটস দিয়ে দেবে কোনও শর্ত ছাড়াই। এই বিষয়টি ভালমতন গ্রহণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলবে না, তা হতে পারে না। তাই আমাদের সকলের সাহায্য করা উচিত ইস্টবেঙ্গলকে।

তিনি সেই কারণেই বুধবার ডেকেছেন বাঙুর গোষ্ঠীর কর্তাদের। শ্রী সিমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরিমোহন বাঙুর এই মুহূর্তে কলকাতাতেই রয়েছেন, তিনিও সেই বৈঠকে থাকতে পারেন বলে শোনা গিয়েছে।

সব থেকে বড় কথা, ৩১ অগাস্ট ফুটবলার নেওয়ার উইন্ডো বন্ধ হয়ে যাবে। তার আগে দলগঠন সারতে হবে। শ্রী সিমেন্ট কর্তারা দেখেছেন এই সময়ের মধ্যে দলগঠন করতে ঝামেলা হতে পারে। সেই হিসেবেই তারা শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়াতে চাইছে। বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা অবশ্য বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানের কথা ভেবেই তারা ক্লাবকে বিনা মূল্যে স্পোর্টিং রাইটস দিয়ে দিতে চায়। যেটি দিলে অন্য কোনও সংস্থা ইনভেস্টর হতে পারবে।

শুধু তাই নয়, স্পোর্টিং রাইটসের জন্য ৫২ কোটি টাকাও তারা ক্লাবের থেকে চাইবে না। কিন্তু এই অল্পসময়ের মধ্যে অর্থ থাকলেও কিভাবে দলগঠন সম্ভব হবে, সেটি ভেবেই দিশেহারা কর্তারা। সেই কারণেই মমতা বিষয়টিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে চান। তিনি গতবারও দুইপক্ষের মধ্যে সম্পর্কস্থাপন করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই প্রাথমিক চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন ক্লাব কর্তারা। কিন্তু মূল চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করা নিয়েই যত বিতর্কের সূত্রপাত দুই পক্ষের মধ্যে।

শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ সংশোধনী চুক্তিপত্র পাঠালেও তাতেও সই করেননি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রশাসন। এই নিয়েই ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙুর গোষ্ঠীর আধিকারিকরা। লাল হলুদ কর্তাদের বক্তব্য ছিল, এই চুক্তিতে সই করা মানে প্রকারান্তরে ক্লাবকে বেচে দেওয়া। তাই তারা এর বিরোধিতা করেছেন প্রবলভাবেই।

সোমবার ইনভেস্টরদের পক্ষ থেকে ইমেল পাওয়ার পরেই লাল হলুদ কর্তারা বৈঠকে বসেন। সেখানেই কর্তারা ফোন করেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে, তাঁর কাছে মুখ্যমন্ত্রীর সময় চাওয়া হয়। তিনি ওই কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানালে তিনিও সাগ্রহে রাজি হয়ে যান দু’পক্ষের সঙ্গে বসতে। তারপরেই নবান্ন থেকে ইনভেস্টরদের প্রতিনিধি শিবাজী সমাদ্দারকে এই প্রস্তাব দিলে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান বিষয়টি। বাঙুর প্রধান সম্মতি দিলে বিষয়টি পাকা হয়।

 

 

 

You might also like