
অনুব্রত বললেন, নজরে বন্দি হবে গুড়বাতাসা, নকুলদানা, লেবুর সরবত, কমিশনের কোপে পড়েও হেঁয়ালি
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এ যেন জোনাল মার্কিং ডিঙিয়ে বিপক্ষের বক্সে হানা দেওয়ার হুঁশিয়ারি!
ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে বড় খেলার আগে যেমনটা বলে থাকেন পল পোগবা, কিলিয়ান এমবাপেরা, খানিকটা তেমনই বললেন অনুব্রত মণ্ডল।
মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা থেকে তাঁকে নজরবন্দি করেছে নির্বাচন কমিশন। বীরভূমে ভোট বৃহস্পতিবার। শুক্রবার সকাল সাতটা পর্যন্ত তাঁকে নজরবন্দি করে রাখার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কী! কেষ্ট মণ্ডল আপাত ভাবলেশহীন! জানিয়ে দিলেন,“খেলা হবেই। ভোটের দিন খেলা না হলে আর কবে খেলা হবে! আর সেই খেলার রেজাল্ট হবে ১১-০।”
বীরভূমে ১১টি আসন রয়েছে। অনুব্রতর দাবি, নজরবন্দি করলেও সব আসনে ফুটবে ঘাসফুল। এদিন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুব্রত বলেন, “আমায় তো নজরবন্দি করেছে। গৃহবন্দি তো করেনি। কী হবে! আমার পিছনে চারটে লোক ঘুরবে ক্যামেরা নিয়ে! ঘুরবে! আমি যেখানে যাব তাঁরাও সেখানে যাবেন। দেখবেন আমি কী খাচ্ছি, কী খাওয়াচ্ছি! সেগুলো ক্যামেরায় তুলবেন। আমি নকুলদানা খাওয়ালে সেটা তুলবেন, গুড়বাতাসা খাওয়ালে সেটা তুলবেন, লেবুর সরবত খাওয়ালে সেটা তুলবেন! মানে সে সবও নজরে বন্দি হবে।”
অনুব্রত ভোটের দিন বিশেষ কোথাও যান না। সকালে মেয়ে সুকন্যাকে নিয়ে ভোট দিয়ে বোলপুর পার্টি অফিসে কন্ট্রোল রুম খুলে ফোনাফুনি করেন। আগের বারও নজরবন্দি করে সেটাই আটকাতে চেয়েছিল কমিশন। অনুব্রতর তিনটি মোবাইল ফোন সিজ করে নেওয়া হয়েছিল ভোটের আগেরর রাতে। ভোট মেটার পর তা ফেরত দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু তিনি তো কেষ্ট মণ্ডল! যেই শুনেছিলেন কমিশন ফোন নিয়ে নেবে ওমনি সংবাদমাধ্যমকে হাসতে হাসতে বলেছিলেন, “ওরা তো মোবাইল ফোন নেবে। ল্যান্ড ফোনের তাঁর তো আর কাটতে পারবে না! বীরভূমে দারুণ ভোট হবে। চড়াম-চড়াম, দরাম-দরাম!”
এদিনও অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, “আমি তো বাড়ি থেকে বেরিয়ে পার্টি অফিস যাব। কমিশনের লোকও যাবেন। যেখানে ঘুরব সেখানে ঘুরবেন! এর আগেও তো আমায় নজরবন্দি করেছিল কমিশন। এসব ছক আমার জানা।”
গত সপ্তাহের শেষের দিকে বীরভূমে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রতকে পাশে বসিয়ে দিদি বলেছিলেন, ওরা কেষ্টকে সহ্য করতে পারে না। তাই নজরবন্দি করে। নজরবন্দি করা বেআইনি। এবারও করলে আমি কেষ্টকে বলব আদালতে যেতে। তবে এদিন সন্ধ্যায় আদালতে যাওয়ার ব্যাপারে কিছু বলেননি অনুব্রত।