শেষ আপডেট: 18th March 2024 00:07
Snake Venom Case update:
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইউটিউব জগতে তিনি বিখ্যাত। টেলিভিশনের জনপ্রিয় শো 'বিগবস' বিজেতা তিনি। সেই এলভিস যাদবকে গ্রেফতার করল নয়ডা থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে সাপের বিষ ব্যবহার ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
''এলভিস ভাইকে আগে কই বল সকতা হ্যায় ক্যায়...!'' সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এক যুবকের এই বক্তব্য ভাইরাল হয়েছিল। সেই যুবক এলভিস যাদবের বড় ফ্যান বলেই নিজেকে দাবি করে। তবে পরবর্তী সময়ে তার সেই মন্তব্য নিয়ে একাধিক মিম হয়েছে ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডেলে। বর্তমানে সেই 'এলভিস ভাই'-এর বিরুদ্ধেই পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
গত বছর নভেম্বর মাসে সাপের বিষ ব্যবহার ও পাচারের অপরাধে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তার মধ্যে এলভিসের নামও ছিল। সেই মামলাতেই এবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত নভেম্বরে নয়ডার একটি ব্যাঙ্কোয়েট হলে হানা দিয়ে ৫টি কেউটে সহ মোট ৯টি সাপ ও ২০ মিলিলিটার বিষ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেই সময়েই ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করে তাঁরা। সেখানে এলভিস ছিলেন না। তবে পরে পুলিশ জানতে পারে সাপের বিষ আদানপ্রদান নিয়ে এলভিসের সঙ্গে অন্যদের যোগাযোগ ছিল।
এরপর পুলিশের তরফে একাধিকবার এলভিসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। শেষমেষ তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
গত নভেম্বরে গ্রেফতার হওয়া পাঁচজন অভিযুক্তই জেরায় এলভিসের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এরপরই এফআইআরে এলভিস যাদবের নাম যুক্ত করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের ৯, ৩৯, ৪৯, ৫০, ৫১ ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এটিকেই মূলত স্নেক ভেনম কেস বলা হচ্ছে ।
মাদক হিসেবে স্নেক ভেনম বা সাপের বিষের ব্যবহার নিয়ে তেমনভাবে বড় কোন গবেষণাও হয়নি। ২০১৮ সালের একটি গবেষণা অনুযায়ী, আফিম দিয়ে তৈরি একপ্রকার নেশার দ্রব্য-এর বিকল্প হিসেবে এই সাপের বিষ ব্যবহার করা হয়।