ক্যানসার বিজয়ী সেলেবরা।
শেষ আপডেট: 4th February 2025 13:26
২০২০ সালের অগস্টে সঞ্জয় দত্তর স্টেজ ফোর ফুসফুস ক্যানসার ধরা পড়ে। কয়েক মাস চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং এক আবেগঘন নোটে লেখেন, 'শেষ কয়েকটা সপ্তাহ আমার পরিবার ও আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। কিন্তু যেমনটা বলা হয়ে তাকে, ঈশ্বর সবথেকে কঠিন লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ তাঁর সবথেকে শক্তিশালী সৈনিকদেরই দেন।'
২০১২ সালে বলিউড অভিনেত্রী মনীষা কৈরালার ওভারিতে ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং এখন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছেন। এমনকি নিজের সংগ্রামের ওপর একটি স্মৃতিকথাও লিখেছেন।
২০১৮ সালে অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানার স্ত্রী তাহিরা কাশ্যপ নিজের ক্যানসারের খবর প্রকাশ করেন। তাঁর ডাক্টাল কার্সিনোমা ইন সিটু (DCIS) ধরা পড়ে, যেখানে তার ডান স্তনে উচ্চ-গ্রেডের ক্যানসার কোষ ছিল। চিকিৎসার পর তিনি ক্যানসারমুক্ত হন এবং ২০২৪ সালে নিজের পরিচালনার অভিষেক ঘটান।
'পরদেশ' সিনেমার অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরীও স্তন ক্যানসার থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ২০২২ সালে অনুপম খের ইনস্টাগ্রামে একটি আবেগঘন ভিডিও পোস্ট করে, তাঁর ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা জানান এবং তাকে 'হিরো' বলে অভিহিত করেন।
২০২১ সালে অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ কিরণ খেরের মাল্টিপল মাইলোমা ধরা পড়ে। এটি এক ধরনের রক্তের ক্যানসার। চিকিৎসা চলাকালীনও তিনি টেলিভিশন রিয়ালিটি শো-এর বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০১৯ সালে বলিউড পরিচালক রাকেশ রোশনের গলায় স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা ধরা পড়ে। তার ছেলে হৃত্বিক রোশন ইনস্টাগ্রামে লেখেন, 'বাবা সম্ভবত আমার দেখা সবথেকে শক্তিশালী মানুষ। কয়েক সপ্তাহ আগে ক্যানসার ধরা পড়লেও তিনি পুরো উদ্যমে এই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।'
এই ৭ বলিউড তারকার লড়াই কেবল তাঁদের ব্যক্তিগত জয় নয়, ক্যানসারের বিরুদ্ধে সাহস ও মনোবলেরও প্রতীক। তাঁরা প্রমাণ করেছেন, সঠিক চিকিৎসা, মানসিক শক্তি এবং পরিবার ও বন্ধুদের সমর্থন থাকলে ক্যানসারের মতো কঠিন রোগকেও জয় করা সম্ভব।