শেষ আপডেট: 19th January 2025 15:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার ভোরে নিজের বাড়িতে আক্রান্ত হন সইফ আলি খান। জানা যায়, তাঁর বাড়িতে কেউ অসাধু উদ্দেশে ঢোকেন এবং আটকাতে গেলে তাঁর ওপর হামলা চালান। টানা চারদিন একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে মুম্বই পুলিশ। রবিবার ভোরে মুম্বইয়ের ঠাণে থেকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, তিনি প্রায় পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে মুম্বইয়ে এসেছিলেন। এলাকা ঘুরে নানা কাজ করেছেন।
অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে আটক করার পর তাঁর থেকে পরিচয় পত্র চান আধিকারিকরা। কোনও পরিচয় পত্র দেখাতে পারেননি তিনি। পুলিশের অনুমান, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ নথি নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন শরিফুল। নাম বদলে তারপরই রাখেন বিজয় দাস। জানা গিয়েছে, তিনি মুম্বই মেট্রো রেলের কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক বসতিতে থাকছিলেন শেষ ক'দিন। মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার এক সদস্য ও স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় তাঁকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় রবিবার।
এর আগে দাদর স্টেশনের বাইরে তিনবার দেখা গেছিল তাঁকে। ৯ জানুয়ারি একটি বাইক থেকে নামতে দেখা যায় বান্দ্রা রেলস্টেশনের কাছে। তার পাশাপাশি ওরলির এক জায়গায়ও গেছিলেন বলে পুলিশ জানতে পারে। সেখানে তাঁকে দেখা যায় এক ঠিকাদারের অফিসে। প্রায় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ তাঁকে চিহ্নিত করে। এক্ষেত্রে একাধিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হয় তদন্তকারী আধিকারিকদের। ফেস ডিটেকশন যার মধ্যে অন্যতম। বান্দ্রায় বাইক থেকে নামার ওই ফুটেজ থেকে বাইকের নম্বর প্লেট ও অভিযুক্তের মুখ স্ক্যান করে তাঁকে চিহ্নিত করা হয়। এদিকে যে ঠিকাদারের কাছে কাজের জন্য গেছিলেন শরিফুল, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিই গতিবিধির হদিস দেন। যার ভিত্তিতে ঠাণে থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মুম্বই পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওই শ্রমিক বসতি জঙ্গলের কাছে। সেখানে লুকিয়ে থাকতে সুবিধা হবে বলে তিনি ওই জায়গা বেছে নেন। ঠাণের একটি হোটেলেও কাজ করেছেন তিনি। তবে অপরাধের কোনও রেকর্ড তাঁর নেই। জিজ্ঞাসাবাদে শরিফুল স্বীকার করেছেন, তিনি জানতেন না কার বাড়িতে চুরি করতে ঢুকছেন। হাতে কোনও কাজ নেই বলে চুরির সিদ্ধান্ত নেন। খানিকটা সিঁড়ি দিয়ে ও এসির পাইপ বেয়ে সইফের ঘরে পৌঁছন তিনি। তবে, তাঁর দাবি, ওইদিনই প্রথম। আগে কোনওদিন সইফের বাড়িতে ঢোকেননি।