শেষ আপডেট: 3rd February 2025 15:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লস অ্যাঞ্জেলেসের Crypto.com এরিনা। মঞ্চে উঠলেন সত্তর বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত সঙ্গীতশিল্পী চন্দ্রিকা। শুধু শিল্পী বললে ভুল বলা হবে, তিনি উদ্যোক্তাও। ৬৭তম গ্র্যামি মঞ্চে সেরা নিউ এজ, অ্যাম্বিয়েন্ট বা চ্যান্ট অ্যালবাম বিভাগে 'ত্রিবেণী' অ্যালবামের জন্য প্রথম গ্র্যামি জিতলেন চন্দ্রিকা ট্যান্ডন। গায়িকার সহযোগীরা, অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁশিবাদক ওয়াউটার কেলারম্যান এবং জাপানের সেলোবাদক এরু মাতসুমোতোর সঙ্গে এই সম্মান ভাগ করে নিলেন।
হাতে গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডটি নিয়ে, মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে চন্দ্রিকা বললেন, ‘সঙ্গীত ভালোবাসা, সঙ্গীত আলোর কিরণ, সঙ্গীত, ঠোঁটের হাসিও। আসুন, আমরা সবাই ভালোবাসা, আলোতে এবং হাসিতে পরিপূর্ণ থাকি। এই সঙ্গীতের জন্য ধন্যবাদ, এবং যাঁরা এই সঙ্গীত তৈরি করেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ’। সেরা নিউ এজ, অ্যাম্বিয়েন্ট বা চ্যান্ট অ্যালবাম বিভাগে নমিনেশনে ছিল রিকি কেজের ব্রেক অব ডন, রিউচি সাকামোতোর 'ওপাস', রবি শঙ্কর কন্যা অনুষ্কার 'চ্যাপ্টার টু: হাউ ডার্ক ইট ইজ বিফোর ডন' এবং রাধিকা ভেকারিয়ার ওয়ারিয়র্স অব লাইট'। সঙ্গীত দুনিয়ার নামজাদা তারকাদের পিছনে ফেলে এই সম্মান জিতে নিলেন চন্দ্রিকা ট্যান্ডন। ২০০৯ সালের ‘সোল কল’-এর পর এটি ছিল ট্যান্ডনের দ্বিতীয় গ্র্যামি মনোনয়ন এবং এই গ্র্যামি তাঁর প্রথম জয়!
কে এই চন্দ্রিকা ট্যান্ডন?
চন্দ্রিকা ট্যান্ডন একজন একজন প্রথিতযশা উদ্যোক্তা ও পেপসিকোর প্রাক্তন সিইও ইন্দ্রা নুয়ির দিদি। তবে এখানেই তার পরিচয় শেষ নয়। মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্ম চন্দ্রিকার। জন্ম চেন্নাইতে। ওখানেই বড় হয়ে ওঠা। মাদ্রাজ ক্রিশ্চিয়ান কলেজে পড়াশোনা। আইআইএম আহমেদাবাদ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ম্যাককিনসে অ্যান্ড কোম্পানিতে নির্বাচিত হওয়া প্রথম ভারতীয়-আমেরিকান মহিলা।
ছোট থেকেই সংগীতের প্রতি এক আলাদা ঝোঁক এবং আবেগ ছিল তাঁর। তিনি বৈদিক মন্ত্র, কর্ণাটক সংগীত ও অন্যান্য শাস্ত্রীয় ঐতিহ্যের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত । ২০০৯ সালে তাঁর প্রথম অ্যালবাম, ‘সোল কল’ প্রকাশ করেন, যা ২০১১ সালে কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড মিউজিকের জন্য গ্র্যামি নমিনেশন পায়। ‘ত্রিবেণী’ তাঁর ষষ্ঠ অ্যালবাম। অন্যান্য নমিনশন সম্পর্কে ট্যান্ডন বলেন, ‘এই বিভাগে অসাধারণ সব নমিনেশনস ছিল। এই পুরস্কার জেতাটাই আমাদের কাছে আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে। নমিনেশনে যাঁরা ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকে অসাধারণ সঙ্গীতশিল্পী।’
৩০ আগস্ট, ২০২৪ প্রকাশিত হয় ‘ত্রিবেণী’ অ্যালবামের সাত-সাতটি ট্র্যাক। পাথওয়ে টু লাইট, চ্যান্ট ইন এ, জার্নি উইদইন, এথার'স সেরেনাড, অ্যানশিয়েন্ট মুন, ওপেন স্কাই এবং সিকিং শক্তি।