Advertisement
জিনত আমান ও অমিতাভ বচ্চন
Advertisement
শেষ আপডেট: 18 April 2025 19:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আশির দশকের গোড়ার দিক। ‘কুলি’ ছবির সেটে মারাত্মক দুর্ঘটনার পর অমিতাভ বচ্চনের জীবনই যেন বদলে গিয়েছিল। হাসপাতালে দীর্ঘ সময় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ফিরে এসেছিলেন তিনি। তখন কেউ ভাবেননি, এত তাড়াতাড়ি ক্যামেরার সামনে ফিরবেন বলিউডের শাহেনশাহ। কিন্তু সিনেমা ছিল তাঁর প্রথম প্রেম, আর সেই প্রেমেই ফিরে এসেছিলেন তিনি—সোজা গোয়ার সৈকতে। সঙ্গে ছিলেন বলিউডের আর এক গ্ল্যামার কুইন, জিনত আমান।
‘পুকার’ ছবির গানের দৃশ্য। নাম ‘সমুন্দর মে নাহাকে’। সূর্য ডুবে যাচ্ছে, চারদিক গোলাপি আলোয় মাখামাখি। জিনত স্বচ্ছ সাদা পোশাকে নেমেছেন জলে, সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে খেলছেন। একদিকে স্পিডবোটে চেপে এগিয়ে আসছেন অমিতাভ, গায়ে রঙিন জ্যাকেট, চোখে চিরচেনা দৃঢ়তা। কিন্তু ঠিক তখনই ঘটে সেই অনভিপ্রেত ঘটনা।
জিনত আমান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “কুলির দুর্ঘটনার পর এটা ছিল অমিতাভের প্রথম বড় শ্যুটিং। ওঁকে দেখে বোঝাই যায়নি তিনি সদ্য হাসপাতাল থেকে ফিরেছেন। তবে আমি চিন্তায় ছিলাম—জল, বালি, ধাক্কাধাক্কির মধ্যে যদি আবার ব্যথাটা ফিরে আসে?”
চিন্তা অমূলক ছিল না। কারণ, শ্যুটিংয়ের মাঝেই পুরনো চোটের জায়গা থেকে হালকা রক্তপাত শুরু হয়। মুহূর্তের জন্য থমকে যায় ইউনিট। কিন্তু নিজেই সকলকে আশ্বস্ত করেন অমিতাভ। হাসিমুখে বলেন, “চলুক, ক্যামেরা বন্ধ হবে না।”
এক বিনোদনপত্রিকার দাবি অনুযায়ী, গোয়ার সেই শ্যুটিং স্পট পুরোপুরি ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছিল, মোতায়েন ছিল পুলিশও। তবু চোট-আঘাতকে পাত্তা না দিয়ে অমিতাভ যেভাবে কাজ করেছিলেন, তা আজও বলিউডের প্রফেশনালিজমের উদাহরণ হয়ে রয়েছে।
Advertisement
Advertisement