শেষ আপডেট: 24th January 2025 13:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশি যুবক শরিফুল ইসলাম শেহজাদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন ফকিরকে ভুলভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন তার বাবা মোহাম্মদ রুহুল আমিন ফকির। তিনি দাবি করেন, তাঁর ছেলে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করায় তাঁকে টার্গেট করা হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুহুল ফকির বলেন, 'আমরা গরিব হতে পারি, কিন্তু অপরাধী নই। বাংলাদেশে আমার ছেলে বাইক ট্যাক্সি চালিয়ে টাকা আয় করত। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমাদের গ্রামে রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়ে যায়, বিশেষ করে গত বছর শেখ হাসিনার সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর। আমার ছেলে খালেদা জিয়ার সক্রিয় সমর্থক হওয়ায় প্রচুর চাপের মুখে পড়ে। তাই সে ভাল আয়ের আশায় বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে যায়।'
রুহুল ফকির, যিনি খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) একজন গ্রামস্তরের কর্মী, তার ছেলের বিষয়টি কূটনৈতিক ইস্যু হিসেবে উত্থাপন করার কথা জানিয়েছেন। আইএএনএস-কে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে রুহুল আমিন ফকির আবারও দাবি করেন যে, সিসিটিভি ফুটেজে যে সন্দেহভাজনকে দেখানো হয়েছে, তাঁর সঙ্গে তাঁর ছেলের চেহারা মেলে না।
তিনি বলেন, 'সিসিটিভিতে যে ব্যক্তিকে দেখানো হয়েছে, আমার ছেলে কখনও লম্বা চুল রাখে না। আমি মনে করি, আমার ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে।'
রুহুল আরও জানান, তাঁর ছেলে বেশি আয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে মুম্বইয়ে চলে আসে, যেখানে হোটেলগুলোতে বেশি বেতন পাওয়া যায়। তবে তিনি অভিযোগ করেন, গ্রেফতারের পরও পুলিশ তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি।
সইফ আলি খানকে ১৬ জানুয়ারি ভোরে তাঁর বান্দ্রার বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টার সময় ছুরিকাঘাত করা হয়। এ ঘটনার তদন্তে মুম্বাই পুলিশ ১৯ জানুয়ারি থানে থেকে শরিফুল ফকিরকে গ্রেপ্তার করে। তবে তার পরিবার এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে এবং বিষয়টিকে কূটনৈতিকভাবে সমাধানের দাবি জানিয়েছে।