Advertisement
রবি ঘোষ , চন্দন সেন, দীপঙ্কর দে
Advertisement
শেষ আপডেট: 20 April 2025 14:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো : 'দোহাই তোদের একটুকু চুপ কর, ভালবাসিবারে দে আমায় অবসর!'
বেশি বয়সে বিয়ে করলেই কি শুনতে হবে সমাজের কটূক্তি? ব্যক্তিগত পছন্দ নিয়ে এত কেন সমাজের বিদ্রূপ? যেমন গতকাল ঘোষণা হল দিলীপ ঘোষের বিয়ে! চমকে গিয়েছিলেন, সারা বাংলার মানুষ। কিন্তু পরক্ষণেই জানা গেল এ তো গল্প হলেও সত্যি! আজ অর্থাৎ শুক্রবার সাতপাক ঘুরছেন ৬১-র রাজনৈতিক নেতা দিলীপ ঘোষ। তবে এতে চমকে যাওয়ার কিছু নেই। টলিপাড়ার বহু নামী মুখ বিয়ে করেছেন বয়স ষাট এমনকি সত্তর পেরোবার পরেই। দিলীপ এই প্রথম বিয়ে করছেন। কিন্তু এই সকল অভিনেতা প্রথম বিয়ের পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন ষাট পেরবার পরেই-- এটুকুই যা তফাত।
এক ঝলকে দেখা যাক সেই সব অভিনেতার বিয়ের (Marriage) গল্প।
রবি ঘোষ
রবি ঘোষের আসল পদবী ছিল ঘোষ দস্তিদার। বৈশাখীর বিয়ের আগের পদবী দাস। বিয়ের পর হন বৈশাখী ঘোষ দস্তিদার। রবি ঘোষের প্রথম স্ত্রী ছিলেন স্বর্ণযুগের বিখ্যাত অভিনেত্রী অনুভা গুপ্তা। অনুভার এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। ১৯৭২ সালে হঠাৎই প্রয়াত হন অনুভা। বিপত্নীক রবি ঘোষ বহু বছর একাই ছিলেন। কিন্তু সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সন্তোষ দত্তদের জোরাজুরিতে দ্বিতীয় বিবাহ করেন বৈশাখী দেবীকে। সম্বন্ধ করেই সেই বিয়ে হয়েছিল। দ্বিতীয় বিবাহে খুবই সুখী ছিলেন রবি। বৈশাখী দেবীর জীবনে রবিই ছিলেন প্রথম পুরুষ। রবিকে প্রথম দেখায় কমেডিয়ান ভেবে নাকি ভীষণ হেসে ফেলেছিলেন বৈশাখী।রবি-বৈশাখীর সুখের সংসার ছিল। রবি ঘোষের মৃত্যুর পর দীর্ঘ দিন রবি ঘোষের বাড়িতেই তাঁর স্মৃতি আঁকড়ে ছিলেন বৈশাখী। কয়েক বছর আগেই প্রয়াত হন তিনি।
দীপঙ্কর দে
প্রথম স্ত্রীর থেকে আলাদা হলেও, ডিভোর্স পাচ্ছিলেন না অভিনেতা দীপঙ্কর দে। তাই দীর্ঘ ২৭ বছর অভিনেত্রী দোলন রায়ের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন দীপঙ্কর। এরপর রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করে বিয়ে হয় দোলন-দীপঙ্করের। বিয়ের পরের রাত পেরলেই দীপঙ্কর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। যা নিয়ে তীব্র ট্রোলের শিকার হন দে দম্পতি। এমনকী তাঁদের যৌনজীবন নিয়ে শুরু হয় কদর্য আলোচনা। তবে সব সমালোচনাকে সরিয়ে সুখেই সংসার করছেন তাঁরা।
চন্দন সেন
অভিনেতা চন্দন সেন চিরকাল সোজাসাপ্টা কথা বলতে ভালবাসেন। তাঁর প্রথম স্ত্রী ছিলেন অভিনেত্রী সুদীপা বসু। কিন্তু সে বিয়ে স্থায়ী হয়নি। যদিও বন্ধুত্ব রয়ে গিয়েছিল। বহু পরে কয়েক বছর আগেই আবারও বিয়ে করেন চন্দন। ততদিনে তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যান্সার। রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেন চন্দন। তাঁকেও পড়তে হয়েছিল সমালোচনার মুখে। যদিও বর্তমানে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব এসেছে চন্দনের।
Advertisement
Advertisement