গতকাল অর্থাৎ ১৫ মে, বৃহস্পতিবার সুষ্ঠুভাবে ‘রঘু ডাকাত’-এর শুটিং করলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। ঠিক তার একদিন আগে যে সিনে টেকনিশিয়ানদের ‘অসহযোগিতা’র মুখে পড়েছিলেন অভিনেতা-পরিচালক এবং গায়ক অনির্বাণ, গতকাল তার পুনরাবৃত্তি হয়নি। কেন তা হল না?
কেন বন্ধ হল না শুটিং?
শেষ আপডেট: 16 May 2025 13:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গতকাল অর্থাৎ ১৫ মে, বৃহস্পতিবার সুষ্ঠুভাবে ‘রঘু ডাকাত’-এর শুটিং করলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। ঠিক তার একদিন আগে যে সিনে টেকনিশিয়ানদের ‘অসহযোগিতা’র মুখে পড়েছিলেন অভিনেতা-পরিচালক এবং গায়ক অনির্বাণ, গতকাল তার পুনরাবৃত্তি হয়নি। কেন তা হল না?
ফেডারেশনের বিরুদ্ধে মামলা করার আগে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের সঙ্গে প্রযোজকদের এই ছবির অর্থাৎ ‘রঘু ডাকাত’-এর চুক্তি হয়, তাই এতে কোনও সমস্যা হয়নি। তবে ভবিষ্যতের প্রজেক্টে টেকনিশিয়ানরা তাঁর সঙ্গে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কারণেই ‘হুলিগানিজম’-এর তৃতীয় গানের শুট থেকেও তাঁরা সরে দাঁড়ায়।
সূত্রের খবর যে সকল পরিচালক ফেডারেশনের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই হবে ‘অসহযোগিতা’। এর জেরেই কখনও সুদেষ্ণা রায়, কখনও অনির্বাণের কাজে পড়ছে কোপ। কিন্তু ‘রঘু ডাকাত’-এর ক্ষেত্রে কি এই ‘মামলার আগে-পরে’র চুক্তি উপর নির্ভর করেই এই ছবিতে বাধা দিল না টেকনিশিয়ানস? টলিপাড়ার এক সূত্রের খবর, ‘রঘু ডাকাত বড় ছবি। আরও স্পষ্ট করে বলতে, দেব এবং এসভিএফ প্রযোজিত বড় বাজেটের ছবি। দেব নিজে একজন সাংসদ। শাসকদল ঘনিষ্ঠ। ছবির শুটিং বন্ধ না হওয়ার এটাই অন্যতম কারণ। টেকনিশিয়ানদের ‘অসহযোগিতা’ দেবের ছবির ক্ষেত্রে খাটবে না!’
প্রসঙ্গত গত বছর জুলাই মাসে ফেডারেশন বনাম পরিচালকদের সংঘাতে বন্ধ হয়েছিল সিনেমা, সিরিয়াল, ওটিটি শুটিং। টলিপাড়ার সেই জট কাটাতেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষ, অরূপ বিশ্বাসদের পাশে দেখা যায় সেই দেবকেই। সাময়িক স্বস্তি মিললেও ফেডারেশন বনাম পরিচালকদের দ্বৈরথ আজ ক্রমান্বয়ে আরও বিরাট আকার নিয়েছে। পরিচালকদের পাশাপাশি প্রযোজকদের বিরুদ্ধেও অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ এনেছে ফেডারেশন।
গত ১৪ই মে, দক্ষিণ ভারতের ফিল্ম এমপ্লয়িজ ফেডারেশন এক দিনের অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল কয়েকজন তামিল চলচ্চিত্র প্রযোজকের অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো। এই কর্মসূচিতে ইস্টার্ন ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স-এর সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস অন্যতম বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর এই অংশগ্রহণ বিভিন্ন ফেডারেশনের মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য ও সংহতির একটি স্পষ্ট নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়, যা অল ইন্ডিয়া ফিল্ম এমপ্লয়িজ কনফেডারেশন-এর অধীনে পরিচালিত হয়ে থাকে।