জিৎ
শেষ আপডেট: 9 May 2025 16:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এপার ওপার বাংলা মিলিয়ে তাঁর ফ্যান সংখ্যা গোনা যাবে না। সুপারস্টারের সব আপডেট সেই ফ্যানদের মুখস্থ। সময়ে-সময়ে সেগুলো পোস্টও হতে থাকে তাঁর নামের ফ্যানপেজগুলো থেকে। তাঁর হাসি থেকে, রোদচশমার স্টাইল। একানেই শেষ নয়, এমনকি আদবকায়দা থেকে তাঁর কথা বলার কায়দাতেও সমান দখল করেছেন তাঁকে ’চাহনেওয়ালার’ কেউ কেউ। যাঁর কথা বলা হচ্ছে, তিনি বাংলার সুপারস্টার জিৎ।
‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চাপ্টার’-এর পর জিতের ট্রেন্ডিং পয়েন্ট ঠিক কোন চূড়ায় পৌঁছেছে, তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তার উপর আজ অর্থাৎ আরেক নতুন খবর। যে খবরে সাড়া ফেলে দিয়েছে টলিপাড়ায়।
এই প্রথম বায়োপিকে অভিনয় করতে চলেছেন জিৎ (Jeet superstar, Jeet)। পরিচালনায় পথিকৃত বসু। ‘কেউ বলে বিপ্লবী, কেউ বলে ডাকাত’। ছয়ের দশকের কলকাতাকে পটভূমি করে এই ছবি। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অনন্ত সিংহ। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এই অনন্তর চরিত্রে অভিনয় করছেন জিৎ। অনন্তকে ঘিরে ছড়িয়ে রয়েছে একরাশ রহস্য। একসময় স্বাধীনতা সংগ্রামের এক সক্রিয় সৈনিক ছিলেন তিনি। ইংরেজদের হাতে ধরা পড়ে দীর্ঘদিন কাটাতে হয় জেলে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে—তিনি কি সত্যিই বিপ্লবী, নাকি কেবল এক ডাকাত?
গল্পের শুরু অনন্তর যৌবনের সময় থেকে, যখন মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে তিনি যুক্ত হন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে। স্বাধীনতা লাভের পরও অনন্ত হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি। সমাজের বঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে তিনি ভাবেন সম্পদের পুনর্বণ্টনের কথা। তবে এই পথে হাঁটতে গিয়ে তিনি পরিণত হন পুলিশের খোঁজের বিষয়বস্তুতে। ইনস্পেক্টর দেবী রায়ের নেতৃত্বে পুলিশ তাঁকে ধরার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠে, কিন্তু অনন্তর কৌশলী পরিকল্পনা আর সামরিক জ্ঞান তাকে এক ধাপ এগিয়ে রাখে। ফলে পুলিশের কাজ আরও জটিল হয়ে পড়ে। গল্পে রয়েছে বিশ্বাসঘাতকতার ছায়াও, যা ক্রমে ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। শেষমেশ এই ছবি সমাজ ও তার কাঠামোকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করাবে।
এমন এক ব্রেকিং খবরে দিন শুরু হয়েছিল টলিপাড়ায়। কিন্তু এত বড় খুশির খবরেও যে লুকিয়ে রয়েছে বিশাদ! মনখারাপ এবং মন ভেঙে যাওয়াও। কেন? কারণ খুব বৃহৎ না হলেও বাংলাদেশের একাংশ ফ্যানদের মন আজ ক্ষুণ্ণ!
‘জিৎ ফ্যান ক্লাব হরিপুর বাংলাদেশ’-এর ফেসবুক পোস্টেই রয়েছে মনখারাপের কারণ। কী লেখা সেই পোস্টে?
‘এটা আমাদের জন্য লজ্জা। অনেক দুঃখ আর রাগ নিয়ে বলতে হয়- জিৎ এত বড় সুপারস্টার টলিউডের, তবুও তার ফেসবুকের এই অবস্থা। দুই বাংলার মধ্যে ফেসবুকে তাঁর সর্বোচ্চ ফলোয়ার। তাঁর ধারে কাছেও নেই, অন্য সব অ্যাক্টররা। কিন্তু তাঁর পোস্টে নাই কোনও বড় ধরনের রিচ। সে পোস্ট করলে যেন, পোস্টে কোন রিঅ্যাক্টই পড়ে না। একটু পরে পরে তাঁর প্রোফাইল থেকে তাঁর মুভি ক্লিপস্ এর নোটিফিকেশন আসে। কেন এত বড় একজন সুপারস্টারের প্রোফাইল এমন হবে?’
ফ্যানদের খারাপলাগা শুধু তাঁদের প্রিয় ‘সুপারস্টার’ জিৎ-এর প্রোফাইল রিচেই থেমে থাকেনি। রাগ-ক্ষোভ এবং যন্ত্রণা মিশে গিয়েছে ঠিক তার পরের লেখায়।
‘সুপারস্টার জিৎ-এর এডমিন প্যানেল নিঃসন্দেহে অদক্ষ, সে তো মুভি ক্লিপ দিতে পারে তাঁর দ্বারা পরিচালিত দুইটা ব্যানারে, একটা হচ্ছে জিৎ ফিল্ম ওয়ার্কস এবং অন্যটা গ্রাসরুট ইন্টারটেইনমেন্টে। হ্যাঁ, এই দুইটাতে বহুৎ মুভি ক্লিপ দেও। কিন্তু তার অফিসিয়াল প্রোফাইল কেন এমন হবে? জিৎ এর একজন পাক্কা ভক্ত হয়েও আজ নিজের কাছেই জিৎ এর পেজ বিরক্ত লাগে; শুধুমাত্র অযথা ভিডিও আসার জন্য।’
এরপর ফ্যানপেজের বক্তব্যে ধরা দেয় অনুযোগ—‘দয়া করে এ রকম সিস্টেম পরিবর্তন করুন সুপারস্টার জিৎ। আপনার নিজের প্রোফাইলে আর এসব মুভি ক্লিপ দিয়েন না।’
জিৎ-এর ফ্যানবেস ভেঙে দিয়েছে কাঁটাতার। এপার-ওপার বাংলার মানুষ তাঁকে ভালবাসে। ভালবাসায় অবশ্য অভিমানও থাকে। আর এমন অভিমানের বহিঃপ্রকাশেও মিশে থাকে সুপারস্টার জিতের প্রতি ভালবাসাই।