শেষ আপডেট: 23rd January 2025 20:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১৯৯৪-তে যেমন দেখতে ছিলেন, এখনও খানিকটা এক রকম। দেখলে কেউ বলবে না বয়স তাঁর ৪৯। হ্যাঁ সুস্মিতা সেনকে দেখে বয়স বোঝা মুশকিল। কীভাবে নিজেকে ফিট রাখেন। এত টানটান ত্বক, টোনড ফিগারের রহস্যই বা কী। অভিনেত্রী খোলসা করেন একটি সাক্ষাৎকারে। জানান, একটি ম্যাজিক পানীয় তাঁকে সারাদিন চনমনে ও ফিট রাখতে সাহায্য করে। কীভাবে দিন শুরু করেন, গোটা দিন কীভাবে কাটান, সবটাই শেয়ার করেন দর্শকদের সঙ্গে।
২০২৩-এ টুইক ইন্ডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স তাঁর সকালের রুটিন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। জানান, প্রতিদিন সকাল শুরু হয় এক গ্লাস গরম জল ও লেবুর রস দিয়ে। সাধারণত সকালে হালকা গান শোনেন তিনি। ধীরে ধীরে শরীরচর্চায় ঢোকেন। এই সময়ে বেশি চিৎকার বা আওয়াজ পছন্দ নয় তাঁর। একই গান লুপে শোনেন, যা নাকি তাঁর কাছে 'মুভিং মেডিটেশন' হয়ে ওঠে।
অভিনেত্রী বলেন, 'আমি চেষ্টা করি ফোনে হাত না দিতে, তবে সবসময় সেটা হয়ে ওঠে না।'
এ তো গেল দিনের শুরুটা, কীভাবে এত ফিট রাখেন নিজেকে? উত্তরে সুস্মিতা জানান, আগে প্রচুর ব্যায়াম করতেন। কঠোর পরিশ্রম করতেন। ঘাম ঝরাতেন। প্রথমে এক ঘণ্টা ওয়ার্ম-আপ, তারপরে দু'ঘণ্টা এক্সারসাইজ ও তারপর ৩০ মিনিট কুল-ডাউন। তবে ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং এই রুটিনে একটু পরিবর্তন আনতে হয়। এখন তিনি হাঁটাহাঁটি, যোগব্যায়াম এবং স্ট্রেচিং করেন সকালে উঠে।
তাহলে কি ব্যায়ামকে বাই বাই জানিয়েছেন সুস্মিতা? তাঁর কথায়, আগামী ছয় মাসে তিনি আবার পুরনো ব্যায়ামের রুটিনে ফিরতে পারবেন।
ব্যায়ম, যোগচর্চা ও জীবনশৈলীই কি সুস্মিতা সেনের ঝকঝকে ত্বকের রহস্য?
অভিনেত্রী বলেন, 'আমার ত্বক পরিচর্যার নিয়ম খুবই সহজ। আমি মেকআপ সাধারণত করি না, শুধু কাজের জন্য করতে হয়। ক্লিনজিং মিল্ক, টোনার, ময়েশ্চারাইজার এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করি।' তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অবশ্যই জরুরি, যদিও আমি সেরাম ব্যবহার করি না।'
এই অভ্যাসগুলো সুস্মিতাকে শুধুমাত্র শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও ভাল রাখে। আর এর পাশাপাশি তিনি বহু মানুষের অনুপ্রেরণাও।