শেষ আপডেট: 19th October 2023 16:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইজিপ্টের পুরাণের এক অতি পরিচিত চরিত্র ফিনিক্স। ঠিক যেমন নিজেকে পুড়িয়ে নিজের ছাই থেকে বারবার জন্ম নেয় ফিনিক্স, বলিউডের দেওল পরিবারের বড় ছেলের গল্পটাও অনেকটা তেমনই। দীর্ঘদিন সাফল্যের শিখরে থেকে আচমকা স্মৃতির অতলে চলে যাওয়া। অতঃপর ফিরে আসা রাজার মতো। সানি দেওলের যাত্রাপথটা সংক্ষেপে বর্ণনা করতে গেলে কিছুটা এমনই দাঁড়ায়।
গত কয়েকটি বছর ধরে দেওল পরিবারের দুই ছেলের নামই যেন সকলে ভুলতে বসেছিলেন। তবে ২০২৩ এ 'গদর ২' দিয়ে ফের যেন পুনর্জন্ম নিলেন ধর্মেন্দ্র-পুত্র। চলতি বছরের হিটের তালিকায় অন্যতম গদর ২।
গদর-ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম ছবি গদর এক প্রেম কথা যখন ২০০১ সালে মুক্তি পায় সেই সময়ে সানির ফ্যানবেস রাতারাতি কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছিল। এমনকী পাঞ্জাবের কিছু প্রেক্ষাগৃহে সকাল ৬টাতেও এই ছবির প্রদর্শন করতে বাধ্য হয়েছিলেন হল মালিকরা।
ধর্মেন্দ্রর বড় ছেলেকে বি টাউনে সকলে সানি বলে চিনলেও সানি দেওলের আসল নাম যে অজয় সিং দেওল এই বিষয়টি অনেকেরই অজানা। সানি আসলে অভিনেতার ডাক নাম। বলিউডে পা রাখার সময়ই সানি নামটি বেছে নেন অভিনেতা।
ফিল্ম পরিবারের সন্তান হলেও ছবির জগতে পা রাখার আগে সানি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন থিয়েটার সম্পর্কে ভাল ভাবে পড়াশোনা করে তারপরই শুরু করবেন বলিউডের কেরিয়ার। সেই মতো বার্মিংহ্যামের ওল্ড রেপ থিয়েটারে ভর্তি হয়েছিলেন সানি। এখন যদিও এই সংস্থা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে তবে একটা সময়ে বার্মিংহ্যামের এই স্কুলে অভিনেতারা অনেকেই অভিনয় শিখতে আসতেন।
কেরিয়ারে দু-দুবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন সানি। ১৯৯০ সালে 'ঘায়েল' ছবির জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান অভিনেতা। এরপর ১৯৯৩ সালে ফের 'দামিনী' ছবিতে সেরা সহ অভিনেতার পুরস্কার পান সানি।
'দামিনী' ছবিতে প্রথমে সানিকে একটি ক্যামিও চরিত্র দেওয়া হয়েছিল। তবে সানির অভিনয় দক্ষতা দেখে নির্মাতারা সিদ্ধান্ত নেন ছবিতে সানির চরিত্রের দৈর্ঘ্য আরও কিছুটা বাড়ানো হবে। এরপর বাকিটা ইতিহাস।
শুধু অভিনয়ই নয়, ইতিমধ্যে পরিচালনাতেও এসেছেন সানি। দুটি ছবি পরিচালনা করেছেন তিনি। ১৯৯৯ সালে 'দিললাগি' ছবি দিয়ে পরিচালনায় হাতে খড়ি হয়। এরপর ২০১৬ সালে 'ঘায়েল ওয়ান্স এগেইন' ছবির মাধ্যমে ফের পরিচালকের আসনে বসেন সানি।