সঞ্জয়ের সংস্থার নাম 'সোনা কম্পস্টার'। ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মতো দেশে বৈদ্যুতিন যানবাহন সরবরাহ করে থাকে এই সংস্থা। ২০২৪ সাল অনুযায়ী, কোম্পানির মূল্যমান ৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল।
শেষ আপডেট: 15 June 2025 14:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিন কয়েক আগে প্রয়াত হয়েছেন সঞ্জয় কাপুর। জানা গিয়েছে, মৌমাছি গিলে ফেলেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। সঞ্জয় পেশায় ছিলেন নামজাদা ব্যবসায়ী। তাঁর সংস্থার মূল্য এই মুহূর্তে ভারতীয় মুদ্রায় ৩৯,০০০ কোটি টাকা! প্রশ্ন, মৃত্যুর পর তাঁর এই বিপুল পরিমাণ সাম্রাজ্যের মালিকানা পাচ্ছেন কে? মুম্বইয়ের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, স্ত্রী-সন্তান নন, তবে কে?
সঞ্জয়ের সংস্থার নাম 'সোনা কম্পস্টার'। ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মতো দেশে বৈদ্যুতিন যানবাহন সরবরাহ করে থাকে এই সংস্থা। ২০২৪ সাল অনুযায়ী, কোম্পানির মূল্যমান ৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল। ভারতীয় মুদ্রায় যা দাঁড়াচ্ছে ৩৯,০০০ কোটি টাকা। জানা যাচ্ছে, সঞ্জয়ের অকালমৃত্যুর পর সংস্থার মুখ হতে চলেছেন, তাঁর দুই বোন সুপর্ণা কাপুর ও মন্দিরা কাপুর কইরালা।
সঞ্জয়ের দুই বোনই প্রতিষ্ঠিত। স্ব স্ব ক্ষেত্রে পরিচিত নাম। সুপর্ণা যেমন এক বিখ্যাত ম্যাগাজিনের এডিটর পদে রয়েছেন। অন্যদিকে মন্দিরা 'সোনা মন্দিরা প্রাইভেট লিমিটেড' নামক এক সংস্থার প্রধান, এই সংস্থাটিও অটো মোবাইল নিয়ে কাজকর্ম করে থাকে। অতীতে 'সোনা' নামটির স্বত্ব নিয়ে সঞ্জয় ও মন্দিরা ঝামেল হয়েছিল যা গড়িয়েছিল আদালতেও। তবে জানা যাচ্ছে, তাঁর মৃত্যুর পর সুপর্ণা ও মন্দিরাই পারিবারিক এই ব্যবসার দায়িত্ব পেতে চলেছেন।
তিন বার বিয়ে করেছেন সঞ্জয়। করিশ্মা কাপুরেরও স্বামী ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে-- সামাইরা ও কিরণ। বাবা হিসেবে কিন্তু তাঁদের প্রতি দায়িত্ব পালন করেছেন সঞ্জয়। রেখে গিয়েছেন অগাধ সম্পত্তি। সঞ্জয়ের নিজেরই ১০ হাজার কোটির বেশি সম্পত্তি।
জানা যাচ্ছে, বিচ্ছেদের সময়েই ছেলে-মেয়ের জন্য ১৪ কোটির বন্ড সই করেন সঞ্জয়। ওই টাকা থেকে সুদসহ প্রতি মাসে ১০ লক্ষ টাকা পায় তাঁর ও করিশ্মার সন্তানেরা। এ ছাড়াও ছেলে-মেয়েদের নামে খার অঞ্চলে একটি বিলাসবহুল বাড়িও করে গিয়েছেন তিনি। করিশ্মার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি বিয়ে করেছিলেন প্রিয়া সচদেবকে। সেখানেও তাঁর এক সন্তান হয়। তাঁর জন্যও গুছিয়ে গিয়েছেন সঞ্জয়। তবে তাঁর এই আচমকা মৃত্যু এখনও মেনে নিতে পারছেন না কেউই। গোটা পরিবারেই শোকের ছায়া।