শেষ আপডেট: 24th September 2024 20:42
দুর্গাপুজোর বাকি আর মাত্র দু’সপ্তাহ। গাছে শিউলির দেখা মিললেও আকাশে-বাতাসে যেন সেই আমেজই নেই। চারপাশে মন খারাপের আবহ। শহরের বুকে ঘটে যাওয়া একটা নারকীয় ঘটনার বিচারের দাবি চারদিকে। এদিকে আগামী সপ্তাহেই শেষ হবে পিতৃপক্ষ। দেবীপক্ষের আগে তবু কোথাও যেন মন একেবারেই ভাল নেই টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় সঞ্চালক সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের। প্রতিবছরের মতো আনন্দটা এবারে কিছুটা চাপা পড়ে গিয়েছে শহরের মন খারাপে। এদিকে দেখতে দেখতে তাঁর বাড়ির পুজো ১৪৫ বছরে পা দিল। ফলে এবছর উমার পুজো কীভাবে হচ্ছে সুদীপার বাড়িতে, তারই খোঁজ নিল দ্য ওয়াল।
পুজোয় প্ল্যানিং কী? প্রতিবছরের মতোই কি আড়ম্বর করে সব হচ্ছে? উত্তরে কিছুটা মেলানো মেশানো অনুভুতিতে সুদীপা বলেন, "আমার বাড়িতে মেয়ে আসছে। মা তো আমার কাছে মেয়েরই সমান। তাই আনন্দ যে একটুও হবে না, এটা বলা ভুল। তবে হ্যাঁ, বিরাট আড়ম্বর করে উৎসব পালন করতে মন চাইছে না এবছর। এদিকে আবার ১৪৫ বছরে পা দিল আমার বাড়ির পুজো। সেই অনুযায়ী রাজকীয় আয়োজন হওয়ার কথা, যেমনটা প্রতি বছরই হয়। কিন্তু সেই জায়গায় বাড়ির পুজো এবছর কিছুটা ম্লান। মনটা একেবারেই ভাল নেই।'
আরজি কর কাণ্ডের প্রসঙ্গ উঠতেই মন খারাপের সুরে সুদীপা বলল, 'এবার পুজোয় কী করে হইহই করি বলো তো! ভাবলেই কতটা কষ্ট হচ্ছে, সেও (নির্যাতিতা) তো আগের বছর সবার সঙ্গে পুজো কাটিয়েছে। এবছর দেখো, গোটা পৃথিবী খুঁজলেও তাঁকে পাওয়া যাবে না।'
'প্রথমবার মা-বাবা ছাড়া পুজো কাটাতে হবে। এটা ভেবেই খুব মন খারাপ লাগছে। মা প্রতিবছর পুজোয় টাকা দিয়ে বলতেন, নিজের পছন্দের কিছু কিনে নিস। এবার সেটা শোনা হল না। তাই কিছু কিনতে ইচ্ছে হয়নি। প্রতিবার কত কত শাড়ি-গয়না হত। কিন্তু এবছর একটাই তাঁত কিনেছি। কারণ মায়ের পুজোয় লাগবে তাই।'
প্রতি বছরই ধুমধাম করে দুর্গা পুজোর আয়োজন করেন সুদীপা এবং তাঁর স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়। বাড়ির পুজো নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে সুদীপা আরও বলেন, 'এবারের পুজোয় আপ্যায়নটা কম হবে। আর সবই এক থাকবে। এটা আমি-অগ্নি মিলে আলোচনা করেই ঠিক করেছি। কেউ যদি মা-কে দর্শন করতে আসেন, তাহলে প্রসাদ ছাড়া তাঁকে ফিরে যেতে হবে না। মায়ের টানে এসেছে। আমার উমাকে দর্শন করবে, তারপরেই যাবে। আমি পারব না বাড়ির দরজা বন্ধ করে রাখতে। প্রতিবছর যেভাবে চার দিনই ভোগের ব্যবস্থা রাখা হয়, তেমনই হবে। মায়ের পুজোয় কোনও রকম কোনও কমতি থাকবে না।'