কী করেছেন ঋতুপর্ণা?
শেষ আপডেট: 17th February 2025 21:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইন্ডাস্ট্রিতে বহুদিন কাটিয়ে ফেলেছেন বিধায়ক-অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। অন্যদিকে অভিজ্ঞতা ও বয়সে অনেকটাই ছোট শ্রীময়ী চট্টরাজ সবে শুরু করেছেন তাঁর যাত্রা। আঠাশ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী আচমকাই হতবাক। এখনও যেন ঘোর কাটছে না তাঁর। কারণ, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে দীর্ঘদিনের বন্ধু কাঞ্চন মল্লিক ও তাঁর স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজকে আমন্ত্রণ জাননিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। আর সেখানেই তাঁর যে অভিজ্ঞতা হল তা নিজের মুখেই জানিয়েছেন শ্রীময়ী।
তাঁর কথায়, "আমার আঠাশ বছরের যাত্রায় বেশ কিছু মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়েছে, মানুষ চিনেছি ,মানুষ দেখেছি, বিশ্বাস করুন আমি কালকে রাত্রের পর অবাক হয়ে গেছি যে মানুষ এরকমও হয়। আমরা তো জীবনে কিছু করলাম কি করলাম না, তার আগেই নিজেদেরকে স্টার ভাবতে ,সুপারস্টার ভাবতে, মেগাস্টার ভাবতে শুরু করে দিই। মানুষকে অহংকার দেখাতে শুরু করি। বেশিরভাগ মানুষ এখন জাজমেন্টাল হয়ে মানুষকে ছোট করতে শুরু করে। মানুষকে নিয়ে কথা বলতে শুরু করি। কিন্তু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত মানুষটিকে দেখে এখনও শেখার আছে, আমার সঙ্গে একদিন একটা অনুষ্ঠানে আলাপ হয়েছিল, সেখান থেকে আমাদের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়, বন্ধুত্ব, হ্যাঁ বন্ধুত্বই বলবো কারণ আমার থেকে বয়সে বড় হলেও, বন্ধুত্বের সম্পর্কের আগে কোনও সম্পর্কই হয় না। উনি আমাদের কালকে আমাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকীর ট্রিট দিলেন ওঁর বাড়িতে। আমি বুঝতেই পারলাম না কীভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেল, কখন রাত দুটো বেজে গেল শুধু আড্ডা মারতে মারতে আমরা বুঝতেই পারলাম না।"
একসঙ্গে বহু ছবি করেছেন কাঞ্চন-ঋতুপর্ণা। রবিবার রাতে সেই কথা বলতে গিয়েই চোখ ছলছল হয়ে ওঠে দুই শিল্পীর। নিজের চোখেই সবটা প্রত্যক্ষ করেছেন শ্রীময়ী। যোগ করলেন, "য়তো একেই বলে শিল্পী। ঋতু দিকে কি বলে আমি সম্বোধন করব সুপারস্টার ,মেগাস্টার ,ব্লকবাস্টার আমি জানি না, যার ঝুলিতে অগণিত ছবি, এবং এখনো একই রকম আমাদেরকে তার অসাধারণ অভিনীত অনবদ্য সিনেমাগুলো একইভাবে উপহার দিয়ে চলেছে। মানুষ যে এত মাটির মানুষ হতে পারে, একজন সুপার ডুপারহিট স্টার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মত মানুষকে আমি কাছ থেকে না দেখলে বুঝতেই পারতাম না।"
খাওয়াদাওয়ার আয়োজনও ছিল বিস্তর। লুচি, ছোলার ডাল, বেগুন ভাজা, বাঁধাকপি তরকারি, চিংড়ি মাছের মালাইকারি ,ভাত, মাটন ,দই কাতলা ,কুলের চাটনি, পাটিসাপটা, রসমালাই ,মিষ্টি... কাঞ্চন-শ্রীময়ীর জন্য এ সবই বাড়িতেই তৈরি করেছিলেন ঋতুপর্ণা। সেই স্বাদ এখনও গালে লেগে আছে তাঁর। ঘোর যেন কাটছে না কিছুতেই।