Latest News

কান্নায় ভেঙে পড়লেন সোহা আলি খান, আব্বার জন্মদিনে কী লিখলেন তিনি

দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝে মাঝেই মা-বাবার ছবি পোস্ট করেন সোহা আলি খান। পুরনো দিনের স্মৃতি মনে পড়লেই কিছু কথা লিখে পোস্ট করেন তিনি। এবার আব্বা নবাব মহম্মদ মনসুর আলি খান পতৌদির জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে আবেগঘন পোস্ট করলেন সোহা।

ছোটবেলার ছবি। আব্বার কোলে ছোট্ট সোহা। এমন একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “আজ তুমি আমাদের মাঝে থাকলে, এমনভাবেই তোমার কোলে থাকত ইনায়া। ঠিক যেভাবে আমি থাকতাম। তোমার কাছ থেকে ও অনেক কিছু শিখতে পারত। যা শুধু তুমিই শেখাতে পারতে ওকে। আমি জানি তুমিও খুব আনন্দ পেতে ওর সঙ্গে থাকলে। আজকের দিনে ভীষণ মনে পড়ছে তোমার কথা। শুভ জন্মদিন আব্বা। আমরা প্রতিদিন তোমায় মিস করি।”

শুধু সোহা নয়, পতৌদি পরিবারের বৌমা অভিনেত্রী করিনা কাপুর খানও ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। করিনা জীবনসঙ্গী সেফ আর মনসুর আলি খান পতৌদির ছবি কোনও ক্যাপশন ছাড়াই পোস্ট করেছেন। ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে তখন সেফ ভীষণই ছোট। সেফ আলি খান এখনও পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অ্যাকাউন্ট খোলেননি। তবে থাকলে আজকের দিনে হয়তো সেফও ছবি পোস্ট করতেন।

মনসুর আলি খান পতৌদি ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। মাত্র ২১ বছর বয়সে অধিনায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালে ঠাকুর পরিবারের সদস্য শর্মিলা ঠাকুরকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। যে সম্পর্ক তৎকালীন সময়ে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিল সর্বত্র। হিন্দু-মুসলমান বিয়ে নিয়ে নানা মত প্রকাশ করেন অনেকেই‌। কিন্তু আজ থেকে এত বছর আগে দীর্ঘদিনের সম্পর্কে আর বিবাহিত জীবনে ধর্ম যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি, সে কথা নিজে মুখে স্বীকার করেছেন শর্মিলা ঠাকুর।


একটি ইন্টারভিউয়ে শর্মিলা ঠাকুর জানিয়েছিলেন, “বিয়ে করার আগে অনেকেই আমাকে বাধা দিয়েছিলেন। তখন কেরিয়ারের তুঙ্গে আমি। কিন্তু আমি কাজ আর ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে জানতাম। দীর্ঘদিন তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। আমরা এতটাই ছোট ছিলাম, যে হিন্দু-মুসলমান ধর্ম নিয়ে একবারও ভাবিনি। আমার মনে হয়েছিল সেটাই আমাদের একসঙ্গে যাপন শুরু করার সঠিক সময় ছিল। তাই বিয়ে করেছিলাম। সত্যি কথা বলতে কী, কোনওদিন তার প্রভাব আমার কাজের জায়গায় পড়েনি।” আজ এত বছর পরেও, তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে এখনও আলোচনা চলে সর্বত্র।

You might also like