অমিতাভ বচ্চন
শেষ আপডেট: 10 May 2025 15:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্মিতা পাটিল। নামটা শুনলেই একরাশ গম্ভীরতা, দুর্দান্ত অভিনয়, আর্ট ফিল্ম করার দক্ষতা চোখে ভেসে ওঠে। কিন্তু একবার তিনিও পা রেখেছিলেন বলিউডের রঙিন, বাণিজ্যিক ছবির জগতে। আর সেই অভিজ্ঞতা—তা হয়ে উঠেছিল তাঁর জীবনের একটা গভীর ক্ষত।
বছরটা ১৯৮২। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাঁর প্রথম বড় পর্দার কাজ ‘নমক হালাল’। ছবির শুটিং চলছে, হঠাৎ পরিচালক জানান, একটা বৃষ্টির গান রয়েছে—‘আজ রপ্তা যায়ে’। সেখানে সাদা শাড়ি পরে ভিজতে হবে, আর অমিতাভের সঙ্গে থাকবে কিছু অন্তরঙ্গ দৃশ্য। শুনেই কেঁপে ওঠেন স্মিতা।
স্মিতা তো আর এসবের অভ্যস্ত নন! তাঁর অভিনয়ের জগৎ ছিল একদম অন্যরকম—চুপচাপ, সংযত, বাস্তব। তাই পরিচালককে সরাসরি বলার সাহস না পেলেও, অমিতাভের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন। অনুরোধ করেন, তিনি যেন পরিচালককে বোঝান, এই দৃশ্যটা যেন বাদ দেওয়া যায়। কিন্তু অমিতাভ কী করলেন? হালকা হেসে বলেছিলেন, “তুমি একটু বেশিই ভাবছ।” ব্যস, আর কোনও আলোচনা নয়। শুটিং হলো। গান শুট হলো। আর সেই মুহূর্তটা স্মিতার জন্য হয়ে রইল বেদনাদায়ক এক স্মৃতি।
‘নমক হালাল’ মুক্তি পেল। গান হিট, ছবি সুপারহিট। কিন্তু তার আড়ালে, স্মিতা পাটিল ছিলেন একদম নিঃসঙ্গ। শোনা যায়, ছবির মুক্তির পর প্রায় এক মাস ঘর থেকেই বের হননি তিনি। রোজ কাঁদতেন। কারণটা ছিল একটাই—নিজেকে বিকিয়ে দেওয়ার এক অস্বস্তি, এক অজানা অপরাধবোধ।
সেই ঘটনার পর থেকেই স্মিতা আর কখনও বলিউডের বাণিজ্যিক ছবির জগতে পুরোপুরি মন ঢেলেছেন বলে শোনা যায় না। নিজের মতো করে চুপচাপ ফিরে গিয়েছিলেন তাঁর চেনা দুনিয়ায়—সত্যজিতের, মৃণালের, শ্যাম বেনেগালের সিনেমার ভেতরে।