শেষ আপডেট: 12th November 2024 19:07
দ্য ওয়াল ব্য়ুরো: ২০২৩-এর ডিসেম্বর, 'ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল'-এর শুটিং চলছে। হঠাৎই শুটিং শেষে হৃদরোগে আক্রান্ত হন ৪৭ বছর বয়সি অভিনেতা শ্রেয়স তালপাড়ে। তড়িঘড়ি তাঁকে মুম্বইয়ের আন্ধেরি ওয়েস্টের বেলভিউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছিল, সেখানে তাঁর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয়েছে। তবে এই নিয়ে বেশিদিন কাজের থেকে দূরে থাকতে হবে না তাঁকে। ঠিক তেমনটাই হয়েছে। বর্তমানে তিনি একেবারে সুস্থ। কাজেও ফিরতে চান।
কাজে ফিরে আসা নিয়ে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'যবে আমি হৃদরোগে আক্রান্ত হই, সেদিন থেকেই আমার জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি একেবারেই পাল্টে গিয়েছে। অনেক বদভ্যাস ছিল যেগুলোকে আমি সহজেই বিদায় জানাতে পেরেছি। আমার খাদ্যাভাসেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। ফলে এখন আমি সুস্থ।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি অনেক সৌভাগ্যবান যে, সমস্ত পরিচালক, প্রযোজক ও সহ অভিনেতারা সব সময় আমার সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন। যে কোনও পরিস্থিতিতে আমাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে আমার কোনও রকমই অসুবিধা হবে না। তারা চান যাতে সবটাই আমার স্বাস্থ্যের খেয়াল রেখেই হয়।'
অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্রেয়সের আগেও এমন অনেক সেলিব্রিটি আছেন যাঁরা ৫০ বছরের কম বয়সী হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন। বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনও ৪৭ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন। সইফ আলি খানের হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল ৩৬ বছর বয়সে। সবার ক্ষেত্রেই চলেছিল অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি চিকিৎসা
কী এই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি চিকিৎসা?
অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি একটি হার্টের অপারেশন। যার মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডের পেশীগুলিতে রক্ত সরবরাহকারী রক্তনালীগুলি পরিষ্কার করে দেওয়া হয়। মেডিক্যাল ভাষায় এই রক্তনালীগুলিকে করোনারি ধমনী (আর্টেরি) বলা হয়। হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো সমস্যার পরে চিকিৎসকরা রোগীর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে সমস্যার সমাধান করেন।
হার্ট অ্যাটাকের এক থেকে দেড় ঘন্টার মধ্যেই এই অপারেশন করেন ডাক্তাররা। এই পদ্ধতিটিকে পিটিসিএ বা পারকিউটেনিয়াস ট্রান্সলুমিনাল করোনারি অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বলা হয়। এর মাধ্যমে চিকিৎসকরা অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির পরে রক্তনালীগুলিতে করোনারি আর্টারি স্টেন্টগুলিও প্রবেশ করান। ফলে শিরাগুলিতে রক্ত প্রবাহ আবার স্বাভাবিকভাবেই হতে শুরু করে। চিকিৎসকদের মতে, এক ঘন্টার মধ্যে রোগী অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করলে মৃত্যুর ঝুঁকি কম হয়। যত তাড়াতাড়ি এটি করা হবে, হৃদরোগের ঝুঁকি তত কম হবে।