শেষ আপডেট: 9th January 2025 12:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রামকমল মুখোপাধ্যায়ের ছবি 'বিনোদিনী, একটি নটীর আখ্যান’। প্রথম ঝলকেই সকলকে চমকে দিয়েছিলেন ‘'বিনোদিনী’ রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini maitra)। তারপর একে-একে প্রকাশ্যে আসে, ছবির বাকি অভিনেতাদের লুক। প্রত্যেকটি চরিত্রের সঙ্গে বেশ মানিয়ে গিয়েছেন অভিনেতারা। তা নিয়ে এখনও চর্চাও অব্যাহত। এবার প্রকাশ্যে এল ছবির প্রথম গান।
‘কানহা তোসে হৃদয় না জোরুঙ্গি’। একেবারে গ্র্যান্ড সেলিব্রেশনে, দক্ষিণ কলকাতার অহীন্দ্র মঞ্চে হল গানে লঞ্চ। স্বয়ং রুক্মিণী মৈত্র, কত্থক পরিবেশনা করলেন। ‘কানহা’ হিন্দি ভাষায় লেখা গান। লিখেছেন পরিচালক নিজে। সুর বেঁধেছেন সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিৎ। রাগ মাঞ্জ খামাজের উপর ভিত্তি করে তৈরি এই গানে, কোরিওগ্রাফি করেছেন মনীষা বসু, সৌভিক চক্রবর্তী এবং অভিয়ান রায়।
‘কানহা তোসে হৃদয় না জোরুঙ্গি’, গেয়েছেন দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতিশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল। এক বিবৃতিতে, পরিচালক রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ টেনে শ্রেয়া বলেন, ‘প্রায় দু’বছর আগে, যখন রাম কমল বলেন যে তিনি প্রথম বাংলা ফিল্ম ‘বিনোদিনী’ করছেন, তখন আমি খুব খুশি হই। আমি রাম কমলদাকে ওঁর সাংবাদিকতার দিন থেকে চিনি। সঞ্জয় লীলা বনসালির ‘দেবদাস’ ছবিতে যখন প্রথম গান গেয়েছিলাম, তখন ও আমার সাক্ষাৎকার নেওয়া মানুষদের মধ্যে একজন ছিলেন।’
শুধু তাই নয়, শ্রেয়া যখন জানতে পারেন, গানের কথা লিখেছেন রাম কমল, বেশ অবাকই হয়েছিলেন। ‘মনে আছে, মুম্বইয়ের যশরাজ স্টুডিওতে রেকর্ডিং চলছিল, এবং দাদা (রামকমল) তখন কলকাতায় শুটিং করছিলেন। রেকর্ডিংয়ের পরে, যখন জিজ্ঞাসা করলাম গানের কথা কে লিখেছেন? তখন সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিত বলেন, যে দাদাই লিখেছেন। ভাষার উপর তাঁর এতো দখল দেখে, আমি অবাক হয়েছিলাম।’ বলেন শ্রেয়া ঘোষাল (shreya ghoshal)।
এখানেই থামেননি গায়িকা, রুক্মিণীকে (Rukmini maitra) শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘বিনোদিনী চরিত্রে অভিনয় এবং আমার গানকে আরও বেশি সুন্দরভাবে নাচে ফুটিয়ে তোলার জন্য, রুক্মিণীকে আমার অনেক শুভেচ্ছা।’
প্রসঙ্গত, ২৩ জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে 'বিনোদিনী, একটি নটীর আখ্যান'। তবে তার আগে ‘কানহা’ গানের দৃশ্যে ধরা দিলেন রুক্মিণী। বহুবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘বিনোদিনী’ করা নিয়ে কটাক্ষর মুখে পড়তে হয়েছে রুক্মিণীকে। শুনতে হয়েছে নানাবিধ কথাও। ‘বিনোদিনী’কেই যোগ্য জবাব হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন রুক্মিণী। তাই গানের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নেটপাড়া ট্রোলিং ‘চুপ’ মেরেছে। রুক্মিণীই বোঝালেন তিনিই ‘যোগ্য’ বিনোদিনী।