শেষ আপডেট: 8th April 2025 21:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বলিউডের ইতিহাসে ‘শোলে’ শুধু একটি ছবি নয়, একেবারে কাল্ট ক্লাসিক। রমেশ সিপ্পি পরিচালিত এই অ্যাকশন-ড্রামা ১৯৭৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল, কিন্তু তার জাদু আজও অমলিন। ধর্মেন্দ্র, অমিতাভ বচ্চন, হেমা মালিনী, জয়া বচ্চন, সঞ্জীব কুমার, আমজাদ খান—তৎকালীন বলিউডের এক ঝাঁক তারকাকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল ছবিটি। মুম্বাইয়ের মিনার্ভা থিয়েটারে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে টানা চলেছিল ‘শোলে’, যা সে সময় এক ইতিহাস হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
‘গব্বর’, ‘বাসন্তী’, ‘জয়-বীরু’র বন্ধুত্ব—এই সব চরিত্র আর সংলাপ আজও দর্শকের মুখে মুখে ফেরে। কিন্তু শুধু গল্প বা অভিনয় নয়, এই ছবিকে ঘিরে বহু অজানা তথ্য আজও উত্সাহীদের কৌতূহল বাড়ায়। এর মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় হল—এই ছবিতে কে কত পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন?
সেই সময়কার হিসেবে ‘শোলে’-র বাজেট ছিল বিপুল—প্রায় ৩ কোটি টাকা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, তারকাদের পারিশ্রমিক ছিল আজকের সঙ্গে তুলনায় অনেকটাই কম। বিভিন্ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জানা যায়, ছবির অভিনেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র, যিনি ‘বীরু’র চরিত্রে অভিনয় করেন। তাঁর পারিশ্রমিক ছিল ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
এরপর ছিলেন ‘ঠাকুর’ সঞ্জীব কুমার—যিনি পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। অমিতাভ বচ্চনের পারিশ্রমিক ছিল প্রায় ১ লক্ষ টাকা। গব্বর সিং চরিত্রে অভিনয় করা আমজাদ খান পেয়েছিলেন মাত্র ৫০ হাজার টাকা। গোবর্ধন চরিত্রে আসরানির পারিশ্রমিক ছিল মাত্র ১৫ হাজার।
নারী চরিত্রদের পারিশ্রমিক ছিল আরও কম। বাসন্তীর ভূমিকায় হেমা মালিনী পেয়েছিলেন ৭৫ হাজার টাকা, আর জয়া বচ্চন (তৎকালীন ভাদুড়ি) পেয়েছিলেন মাত্র ৩৫ হাজার টাকা। এ থেকেই স্পষ্ট, সত্তরের দশকে লিঙ্গভিত্তিক পারিশ্রমিকের পার্থক্য কতটা প্রকট ছিল। আজও এই বৈষম্য পুরোপুরি মিটে না গেলেও, তখন তা ছিল বলিউডে একেবারে স্বাভাবিক বাস্তবতা।
ছবিটির মুক্তির আগে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (CBFC) কয়েকটি দৃশ্য কেটে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। তা নিয়েও সে সময় বেশ বিতর্ক হয়। তবু সব বাধা পেরিয়ে 'শোলে' যে রূপকথার মতো সফলতা অর্জন করে, তা বলিউডের ইতিহাসে এক স্বর্ণালী অধ্যায় হয়ে আছে।