ড. সিংহনিয়া আরও বলেন, "সম্প্রতি এক ৩৬ বছরের যুবকের এনজিওগ্রাফির রিপোর্টে দেখা গেছে, তিনি ধূমপান বা মদ্যপান করেন না, কোনও বড় অসুখও নেই, তবু হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।"
শেফালির মৃত্যুতে ফের উঠল প্রশ্ন
শেষ আপডেট: 30 June 2025 07:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'কাঁটা লাগা’ খ্যাত অভিনেত্রী শেফালি জরিওয়ালার (Shefali Jariwala Sudden Death) আকস্মিক মৃত্যুর পর ফের একবার আলোচনায় উঠে এল হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) বিপদ। প্রাথমিক অনুমান, মাত্র ৪২ বছর বয়সেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু হয়েছে শেফালির। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও কারণ স্পষ্ট নয়। এই ঘটনার পরই উঠে আসছে বড় প্রশ্ন, শরীর ফিট রাখলে কি সত্যিই সুস্থ থাকা যায়? নাকি এর পেছনেই লুকিয়ে আছে কোনও ভয়াবহ কারণ?
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কার্ডিওলজিস্ট ড. ধীরেন্দ্র সিংহনিয়া (Dr Dhirendra Singhania) বলেন, "শুধু শরীরচর্চা করলেই হবে না। শরীরের সুস্থ রাখতে যদি স্বাভাবিক নিয়ম না মানা হয়, তাহলেও বিপদ হতে পারে।" তিনি জানান, "স্টেরয়েডের ব্যবহার, ঘুমের ঘাটতি, ও মেয়েদের ক্ষেত্রে হরমোনাল থেরাপি (যেমন মেনোপজের জন্য HRT বা ওরাল কন্ট্রাসেপ্টিভ পিল) অনেক সময় হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
চিকিৎসকের মতে, তারকাদের মধ্যে ফিটনেস রুটিন নিয়ে অতিরিক্ত চাপ থাকে। অনেকেই দিনের বেশিরভাগ সময় জেগে থাকেন, যা হার্টের উপর প্রভাব ফেলে। এর সঙ্গে থাকে মানসিক চাপ, সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি, সব মিলিয়ে কর্টিসল হরমোন বেড়ে গিয়ে ব্লাড প্রেশার বাড়ায়, যা পরবর্তীতে হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।
ড. সিংহনিয়া আরও বলেন, "সম্প্রতি এক ৩৬ বছরের যুবকের এনজিওগ্রাফির রিপোর্টে দেখা গেছে, তিনি ধূমপান বা মদ্যপান করেন না, কোনও বড় অসুখও নেই, তবু হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।"
শুক্রবার রাতে অভিনেত্রী অসুস্থ বোধ করলে তাঁর স্বামী পরাগ ত্যাগী (Parag Tyagi) তাঁকে রাত ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ আন্ধেরির বেলভিউ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত (ব্রট ডেড) ঘোষণা করেন। এরপরই শেফালির দেহ কুপার হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শেফালি দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছিলেন এবং নিয়মিত ওষুধও খাচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, কিন্তু টক্সিকোলজি ও হিস্টোপ্যাথোলজি রিপোর্ট হাতে এলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
শেফালির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গ্লুটাথায়োন, ভিটামিন সি ইঞ্জেকশন ও অম্বলের ওষুধ পেয়েছে পুলিশ ও ফরেন্সিক টিম। এই সবই সৌন্দর্য বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। যদিও চিকিৎসকের মতে, এই ওষুধগুলি সরাসরি হৃদরোগের জন্য দায়ী নয়, তবে যদি হরমোনাল থেরাপি নেওয়া হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতেই পারে।