শেষ আপডেট: 7th March 2025 19:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নীল আলোয় মঞ্চের পর্দা উঠছে, দর্শকদের চোখে উত্তেজনা। সেই মঞ্চ থেকেই একদিন উঠে এসেছিলেন শাহরুখ খান। তখন তিনি বলিউডের কিং খানও হননি। ফলে স্টারকিড না হয়েও বলিউডের ‘বাদশা’ হয়ে ওঠার পথটা সহজ ছিল না, ছিল কঠিন পরিশ্রম আর একাগ্রতার গল্প। আর সেই সংগ্রামের এক অজানা অধ্যায় সামনে আনলেন কিং খানের থিয়েটার-সহকর্মী দীপিকা দেশপান্ডে।
ব্যারি জোনসের থিয়েটার গ্রুপে কাজ করার সময় শাহরুখ ছিলেন একেবারেই অন্যরকম — সাদামাটা, আন্তরিক আর বন্ধুবৎসল। সেই সময় শাহরুখের কাছে একটা ছোট মারুতি গাড়ি ছিল। থিয়েটারের রিহার্সাল শেষ হতে প্রায়শই রাত হয়ে যেত। তখন মেয়েদের নিরাপত্তার কথা ভেবে শাহরুখ নিজেই গাড়িতে সবাইকে তুলে একে একে বাড়ি পৌঁছে দিতেন। দীপিকার কথায়, “মনে হত যেন একটা মালবাহী গাড়ি! সবাইকে একসঙ্গে তুলত, আর সবাই মিলে মজা করতে করতে বাড়ি ফিরতাম।”
শুধু ভাল সহকর্মীই নয়, শাহরুখ ছিলেন দারুণ বন্ধু। রাত যতই হোক, প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াতেন তিনি। আজও সেই আন্তরিকতা, সেই উষ্ণতা একটুও কমেনি বলে জানালেন দীপিকা। শাহরুখের সঙ্গে পর্দাতেও কাজ করেছেন দীপিকা। ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ফ্যান’ ছবিতে শাহরুখের ‘ফ্যান’ চরিত্রটির মায়ের ভূমিকায় দেখা যায় তাঁকে।
সমবয়সী হওয়ার পরও এই চরিত্রে অভিনয় করতে প্রথমে কিছুটা অস্বস্তি হয়েছিল দীপিকার। তবে পরিচালক জানান, প্রস্থেটিক আর বিশেষ ভিজ্যুয়াল এফেক্টের মাধ্যমে শাহরুখকে ছবিতে অনেকটাই তরুণ দেখানো হবে। শাহরুখের জীবনের এইসব ছোট ছোট মুহূর্তই তাঁর ‘বাদশা’ হয়ে ওঠার আসল ভিত্তি। আর সেই মানুষটা আজও যেমন ছিলেন, তেমনই আছেন — বিনয়ী আর সবার পাশে দাঁড়ানোর মতো একজন প্রকৃত নায়ক।