শেষ আপডেট: 8th October 2024 12:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সালটা ১৯৯৫। সে বছর মোট সাতটি ছবি মুক্তি পায় শাহরুখের। ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ এবং ‘কর্ণ অর্জুন’ হিট হলেও সেই বছরেও মুক্তি পাওয়া ‘জমানা দিওয়ানা’ এবং ‘গুড্ডু’ মুখ থুবড়ে পড়ে বক্স অফিসে। তারপরেই শেষের দিকে মুক্তি পায় ‘ত্রিমূর্তি’।
এই ছবির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মুকুল এস আনন্দ। বলিপাড়ার একাংশের দাবি, এখনও পর্যন্ত শাহরুখ যতগুলি ছবিতে অভিনয় করেছেন সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে ব্যর্থ ছবি হল ‘ত্রিমূর্তি’। এই সিনেমায় শাহরুখের পাশাপাশি অভিনয় করেছিলেন অনিল কাপুর, গৌতমী তাদিমালিয়া, অঞ্জলি জঠর, জ্যাকি শ্রফ, প্রিয়া তেন্ডুলকর, তিন্নু আনন্দ, সইদ জাফ্রের মতো একাধিক তারকা।
তবে বাজেটের দিক থেকে কিন্তু মোটেই পিছিয়ে ছিল না ‘ত্রিমূর্তি’ ছবিটি। বলিপাড়া সূত্রে খবর, ১১ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও সাফল্যের মুখ দেখেনি। সেই সময় যে ছবিগুলি মুক্তি পেত, তাদের মধ্যে তুলনা করলে বাজেটের দিক থেকে অনেক এগিয়ে ছিল ‘ত্রিমূর্তি’।
তবে বক্স অফিসে একদমই ভাল ব্যবসা করতে পারেনি ‘ত্রিমূর্তি’। গোটা দেশ জুড়ে মাত্র আট কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। শুধু মাত্র মুক্তির দিনই প্রচুর পরিমাণে ব্যবসা করেছিল ছবিটি। সেই দিনই এক কোটির ব্যবসা করে। তবে মুক্তির পর থেকেই ধীরে ধীরে নিন্দা ছড়াতে থাকে দর্শকদের মধ্যে।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ছবিটিতে শাহরুখের সহ-অভিনেতা হওয়ার কথা ছিল বলি অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের। ছবির বেশ কয়েকটি দৃশ্য শুটও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরই জেলবন্দি হয়ে পড়েন অভিনেতা। ফলে ‘ত্রিমূর্তি’ ছবির কাজ কিছু দিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। সেই জায়গায় অনিল কপূরকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ১৯৯৪ সালের ডিসেম্বর মাসে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ‘ত্রিমূর্তি’র। কিন্তু আবার নতুন করে শুটিং শুরু হওয়ায় মুক্তির দিন পিছিয়ে যায়। ফলে নির্ধারিত তারিখের এক বছর পর ১৯৯৫ সালের ২২ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ত্রিমূর্তি’।