শেষ আপডেট: 10th April 2025 16:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বলিউড অভিনেতা ওম পুরির প্রথম স্ত্রী সীমা কাপুর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁদের বৈবাহিক জীবনের জটিল অধ্যায় তুলে ধরেছেন। অভিনেতা সিদ্ধার্থ কাননের সঙ্গে আড্ডায় সীমা জানান, তাঁর গর্ভাবস্থার মধ্যেই অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওম। সেই বিশ্বাসঘাতকতা আর সহ্য করতে না পেরে সংসার ছেড়ে বেরিয়ে যান সীমা। কিন্তু তাঁদের অনাগত সন্তানেরও মৃত্যু হয়।
সীমা জানান, ওম পুরির সঙ্গে তাঁর জীবনে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু ‘City of Joy’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন নন্দিতা পুরির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওমের। “আমার খুব কাছের বন্ধু রেনু সালুজা (বিদু বিনোদ চোপড়ার প্রথম স্ত্রী) এটা জানত। তবে ও-সহ সুধীর মিশ্র ও অন্য বন্ধুরা বলেছিল, এটা সাময়িক একটা ব্যাপার। পরে ঠিক হয়ে যাবে,” বলেন সীমা।
তিনি আরও জানান, তিনি যখন দিল্লিতে ছিলেন, তখন একদিন ফোনে ওম স্বীকার করেন যে, তিনি অন্য এক মহিলাকে ভালোবাসেন। “তাঁর গলার আওয়াজেই বুঝতে পারি, ও সত্যিই আমাকে ছাড়তে চায়। আমি তখন অন্তঃসত্ত্বা ছিলাম। মন ভেঙে গিয়েছিল,” বলেন সীমা।
মুম্বই ফিরে এসে স্বাভাবিক মনে হলেও, শীঘ্রই সত্যি সামনে আসে। ওম পুরি শহরের বাইরে শ্যুটে গেলে, হঠাৎ করেই সীমা আবিষ্কার করেন কিছু প্রেমপত্র। “আমি একদম ভেঙে পড়ি। ডিভোর্স চাইনি, বরং সম্পর্কটা ঠিক করতে চেয়েছিলাম, কারণ আমি গর্ভবতী ছিলাম। ও জানত আমি সন্তানসম্ভবা। কিন্তু এই ব্যাপারটাই নন্দিতার কাছে সমস্যা হয়ে উঠেছিল,” বলেন সীমা।
সীমার কথায়, ওম ও নন্দিতার মদ্যপ অবস্থায় ঝামেলার মধ্যেই বাড়ি ছাড়েন তিনি। সীমা আরও বলেন, “আমি কখনও ঝগড়া করতাম না। কিন্তু একটা রাত, সব সহ্যের সীমা পেরিয়ে গেল। আমি তখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা।''ওম পুরির ব্যবহারে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন সীমার ভাই অভিনেতা অন্নু কাপুর। ডিভোর্সের সময় সীমা পেয়েছিলেন ছ’লক্ষ টাকা।
কিন্তু সন্তানহানির পর ওম যে ২৫ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন, তা নিতে অস্বীকার করেন তিনি। “একজন সেক্রেটারির মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছিল। বলেছিল, এটা দুঃখের ক্ষতিপূরণ। আমি ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। তখন সে বলেছিল, ‘এই অহংকারই তোমার সব নষ্ট করছে’। কিন্তু ও যা ভাবত অহংকার, সেটা ছিল আমার আত্মসম্মান,” বলেন সীমা। জীবনের শেষ পর্বে অবশ্য ওম পুরি ফোন করে সীমাকে ক্ষমা চান বলেও জানান তিনি।