এক সময় বলিউডের গ্ল্যামার আর শিল্পপতি জগতের সংযোগস্থলে দাঁড়িয়ে ছিল একটি সম্পর্ক। ২০০৩ সালে এক রাজকীয় আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুর এবং ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুর।
সঞ্জয় কাপুর
শেষ আপডেট: 13 June 2025 06:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এক সময় বলিউডের গ্ল্যামার আর শিল্পপতি জগতের সংযোগস্থলে দাঁড়িয়ে ছিল একটি সম্পর্ক। ২০০৩ সালে এক রাজকীয় আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুর এবং ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুর। সেই বন্ধন থেকে জন্ম নেয় দুটি সন্তান—সামাইরা এবং কিয়ান। তবে সব গল্পের শেষটা যে সুখের হয় না, সে কথা বলিউড জানে বহুবার।
দাম্পত্য জীবনের জটিলতা, মতপার্থক্য, বিশ্বাসের ফাঁক গড়ে তোলে দূরত্ব। ২০১৪ সালে করিশ্মা এবং সঞ্জয় আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। দুই বছর পর ২০১৬ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ আইনি স্বীকৃতি পায়। সন্তানদের হেফাজত নিয়ে টানাপোড়েন চলে আদালত পর্যন্ত। শেষমেশ আদালত করিশ্মাকে শিশুদের হেফাজতের অধিকার দেয়, সঞ্জয় পান নির্দিষ্ট সময়ে দেখা করার অনুমতি। এমনকি একটি এফআইআর, যেটি করিশ্মা আগে দায়ের করেছিলেন, সেটিও সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করে।
বিবাহবিচ্ছেদকে কেন্দ্র করে প্রাথমিকভাবে পারস্পরিক সমঝোতার পথে হাঁটলেও, সন্তানদের হেফাজত ও সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। শেষপর্যন্ত সঞ্জয় নিজের দায়িত্ব পালনে পিছু হঠেননি। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ১৪ কোটি টাকার বন্ড কেনেন, যার সুদ ১০ লক্ষ টাকা। এছাড়া করিশ্মাকে তাঁর পিতার একটি বাড়ির মালিকানাও প্রদান করেন।
পরবর্তী বছরেই সঞ্জয় নতুন জীবনের পথে এগিয়ে যান—মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়া সচদেবের সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। আগের বিয়ে থেকে প্রিয়ার একটি কন্যাসন্তান ছিল, পরে তাঁদের সংসারে আসে পুত্র আজারিউস।
বিচ্ছেদের পরেও করিশ্মা ও সঞ্জয় সম্পর্কে সম্মান ও সৌহার্দ্যের বার্তা রাখেন। তাঁরা একসঙ্গে সামাইরার ১৮তম জন্মদিন উদযাপন করেছিলেন, যেখানে প্রিয়াও উপস্থিত ছিলেন সন্তানদের সঙ্গে।
তবে ২০২৫ সালের ১২ জুন ঘটে সেই ঘটনা, যা এক জীবনের সমাপ্তি ঘটায়। লন্ডনে একটি পোলো ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন সঞ্জয় কাপুর। খবরে প্রকাশ, একটি মৌমাছি গিলে ফেলেন তিনি, যা শ্বাসরোধের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মাঠেই পড়ে যান, প্রাথমিক চিকিৎসা সত্ত্বেও প্রাণে রক্ষা পাননি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩।
সঞ্জয় কাপুর ছিলেন অটোমোবাইল শিল্পের বিশিষ্ট সংগঠন সোনা কমস্টারের চেয়ারম্যান। তাঁর মৃত্যুতে সংস্থা জানায়, “সঞ্জয় ছিলেন এক দূরদর্শী নেতা, যাঁর নেতৃত্বে সোনা কমস্টার আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ চিরকাল সংস্থার পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে।”