
চৈতালি দত্ত
সলিল চৌধুরীর (Salil Chowdhury) ছোটদের গান (songs) নিয়ে এবার প্রকাশিত হল কমিকস বুক (comic book)। গত সোমবার, ১৪ নভেম্বর শিশু দিবসের দিন হিন্দুস্থান রেকর্ড থেকে প্রকাশিত হল ‘গানে গানে অন্তরা’ শীর্ষক বইটি। ছোটবেলায় পড়া অরণ্যদেব, টিনটিনের গল্পে যেমন ঘটনাপ্রবাহ অলংকরণের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়, তেমনই এই বইতে গানের গল্পরূপ ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। উপরি পাওনা গানের শেষে তার স্বরলিপিও।
উল্লেখ্য, আগামী ১৯ নভেম্বর বাংলা গানের স্বর্ণযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী সলিল চৌধুরীর জন্মদিনও। তাঁর সুরে অন্তরা চৌধুরীর ছোটদের গান আজও একইরকম সমাদৃত। তেমনই চারটে জনপ্রিয় গানের উপর এরকম একটি কমিকসের বই প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে হিন্দুস্থান রেকর্ড কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত বলে রাখা প্রয়োজন, একসময় এই হিন্দুস্থান রেকর্ড লেভেল থেকেই প্রকাশিত হতো সলিল চৌধুরীর ছোটদের গান। যেগুলি আজও জনপ্রিয়তার শীর্ষে।
১৪ নভেম্বর হিন্দুস্থান রেকর্ডের ঐতিহাসিক ভবনে প্রকাশিত হয়েছে এই বিশেষ বইটি। উপস্থিত ছিলেন অন্তরা চৌধুরী (Antara Chowdhury)। এছাড়াও, বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন পণ্ডিত তন্ময় বোস, পায়েল সাহা, রিয়াদ সাহা-সহ অন্তরার ছোটদের গানের প্রতিষ্ঠান ‘সুরধ্বনি’র ছাত্র-ছাত্রীরা। ছোটদের নিয়ে এরকম একটা কাজ করতে পেরে খুবই খুশি সংস্থার কর্ণধার শোভনলাল সাহা। বাবার গান নতুন রূপে পৌঁছে যাবে আগামী প্রজন্মের কাছে, এতে খুশি সলিল-কন্যা অন্তরাও।

শোভনলালবাবু জানান, ‘অন্তরা চৌধুরীর যখন সাত বছর বয়স তখন থেকেই হিন্দুস্থান রেকর্ডের সঙ্গে ওঁর সম্পর্ক। এত বছর পরে আবার ওঁর সঙ্গে এবং ওঁর গানের প্রতিষ্ঠান স্কুল ‘সুরধ্বনি’র সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে খুবই খুশি। আমরা আবার শিশুদের নিয়ে নতুন উদ্যমে বেশ কিছু কাজের কথা ভেবেছি।’

অন্যদিকে অন্তরা চৌধুরী বলেন, ‘আমি এমন একজন জিনিয়াস শিল্পীর কন্যা হিসেবে গর্বিত। এটা আমার জন্য আশীর্বাদ, যে আমি আমার বাবা তৈরি করা কিছু কম্পোজিশন গাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। যেগুলো ১৯৭৭ সালে প্রকাশ হয়েছিল। আজ আমি আরও গর্বিত, কারণ আমার গাওয়া চারটি গান শুধুমাত্র শিশুদের জন্যই নতুনভাবে কমিকসের বই করে প্রকাশ করা হয়েছে। আমি এই অভিনব উদ্যোগের জন্য হিন্দুস্থান মিউজিক পাবলিশিং প্রাইভেট লিমিটেডের সাফল্য কামনা করছি।’
‘সেই আনন্দ ক্রমশ মিশে যাচ্ছিল আমার রক্তে,’ ৪৭ সালের ১৫ অগস্ট কলকাতা ঘুরে দেখেন কিশোর সৌমিত্র