শেষ আপডেট: 16 August 2022 08:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৫২ বছরে পা দিলেন বলিউডের ‘নবাব’ সইফ আলি খান (Saif Ali Khan)। শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore) আর মনসুর আলি খান পতৌদির প্রথম সন্তান তিনি। বড়পর্দায় তাঁর খানদানি নবাবসুলভ ক্যারিশ্মা বরাবরই চোখ টেনেছে দর্শকদের। তবে সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মালেও সইফের ছোটবেলাটা কেটেছিল আর পাঁচটা সাধারণ ছেলেমেয়ের মতোই। নিজেই তিনি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তাঁর ছেলেবেলা কতটা বিলাসবিহীন ছিল, কড়া শাসনে তাঁকে বড় করেছেন মা শর্মিলা।
২০১৭ সালে একটি সাক্ষাৎকারে সইফ জানিয়েছিলেন, ছোটবেলায় তাঁদের পরিবারে আভিজাত্য ছিল বটে, তবে বিলাসবহুল জীবন যাপন করেননি তাঁরা। এমনকি ছোটবেলায় বাবা-মা তাঁকে পকেটমানিও দিতেন না বলে জানান সইফ।
মজা করেই তিনি বলেন, আমাকে বাবা-মা কোনও পকেটমানি দিত না। এক পয়সাও পেতাম না। পাশের বাড়ির ছেলেটাও আমার থেকে বেশি হাতখরচ পেত।
‘নবাব’ উপাধি কেবল সিনেমার জগতেই, বাস্তবে তাঁদের যাপনে কোনও রাজকীয়তা ছিল না বলে জানিয়েছিলেন সইফ আলি খান। খুব সাধারণভাবেই মানুষ হয়েছেন। তাঁর বাবা ১৯৭১ সাল পর্যন্ত নবাব উপাধি ব্যবহার করেছেন। কিন্তু সইফের সেসব বালাই নেই। নবাবি ঘরানার ছেলে বলে তাঁর কোনও নবাবি চাল নেই, যেটুকু যা আছে সবটাই বলিউডের দৌলতে, নিজেই স্বীকার করেছেন পতৌদিপুত্র।
সইফকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁর মায়ের জীবন নিয়ে কোনও বায়োপিক তিনি দেখতে চান কিনা। জবাবে সইফ জানিয়েছিলেন, মা নয়, বাবার জীবন পর্দায় দেখতে চান তিনি। কারণ শর্মিলা ঠাকুর সুপারস্টার হয়েছেন। দীর্ঘদিন সুপারস্টার ঘরানায় থেকেছেন। নিজের পছন্দের ক্রিকেটারকে বিয়ে করেছেন। এতে বিশেষ সিনেমার মশলা নেই। তবে মনসুর আলি খান পতৌদির জীবন অনেক বেশি সিনেমাঘেঁষা বলে মনে করেন সইফ। ক্রিকেট খেলতে খেলতে একটা চোখ হারিয়েছিলেন পতৌদি। সারাজীবন ধরে অনেক লড়াই করে, ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে বড় হয়েছেন তিনি। বড়পর্দায় সেসব দেখতে মুখিয়ে আছেন সইফ।
তবে সেই সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, তাঁর বাবার বায়োপিক কেবলমাত্র হিন্দি ছবি হলে হবে না, তা হতে হবে আঞ্চলিক কোনও ভাষায় তৈরি। তবেই সেই ছবির সার্থকতা।
১৯৯১ সালে অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় সইফ আলি খানের। ১৩ বছর একসঙ্গে সংসার করেছেন তাঁরা। বিবাহবিচ্ছেদের পর বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী করিনা কাপুরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন সইফ আলি খান। তৈমুর আর জাহাঙ্গির- দুই সন্তান নিয়ে এখন তাঁর ভরা সংসার। সেই সঙ্গে ইব্রাহিম আলি খান এবং সারা আলি খানও রয়েছেন। চার ছেলেমেয়েকেই সমান চোখে দেখেন পতৌদি পরিবারের বড় ছেলে। বাবার জন্মদিনটাও প্রতিবছর দারুণ আনন্দ করে কাটায় সারা, তৈমুররা।