ফসিলসের কনসার্ট। ছবি: প্রশান্ত কুমার শূর।
শেষ আপডেট: 9th January 2025 13:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কড়া, অর্থাৎ তীব্র বা অকোমল উদ্ধৃতিসমূহ। ঝাল, অর্থাৎ কটু রস বা উষ্মা। ভয় অর্থাৎ মনের শঙ্কিত অবস্থা। ব্যথা, অর্থাৎ অপ্রীতিকর শারীরিক সংবেদন। অনেকেই এহেন বিশেষণ ব্যবহার করেন তাঁদের প্রিয় ব্যান্ড ‘ফসিল্স’কে নিয়ে। আজ তাদের বয়স ২৭। তবে ‘ফসিল্স’ মানে কি শুধুই স্টেজ কাঁপানো পাঁচ-পাঁচজন মিউজিশিয়ান? স্পষ্ট করলেন দলের অন্যতম কান্ডারি রূপম ইসলাম (Rupam Islam Fossils)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গায়ক লিখলেন, ‘২৭ বছরের ইতিহাসের সমস্ত ব্যান্ড মেম্বার ফসিল্স। আমাদের রোডি এবং স্টেজ ক্রু, তাঁরা ফসিল্স। যাঁরা স্টেজ বানিয়েছেন, লাইটস লাগিয়েছেন, তাঁরাও ফসিল্স। যাঁরা আমাদের কনসার্ট অর্গানাইজ় করেছেন, যাঁরা কনসার্টগুলোর দ্বায়িত্ব নিয়ে সামলেছেন, তাঁরা ফসিল্স। কনসার্টের শৃঙ্খলা বজায় রেখেছেন যে বাউন্সররা, বা অগুনতি স্বেচ্ছাসেবক, তাঁরাও ফসিল্স।’
রূপমের কথায়, তাঁদের প্রথমদিকের হাতে গোনা শ্রোতা থেকে শুরু করে, শহরে-রাজ্যে-দেশে-বিদেশে মাঠ-অডিটোরিয়াম হাউসফুল করে যাঁরা এসেছেন, যাঁরা ব্যান্ডের অসংখ্য কনসার্টে উপস্থিত থেকেছেন, আবার যাঁরা একটা কনসার্টে উপস্থিত থাকার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে ছুটে এসেছেন একদিনের জন্য, সবাই ফসিল্স।
রূপম লিখেছেন, ‘যাঁরা কনসার্টের সব থেকে দামি টিকিট প্রথম দিনে কেটেছেন, যাঁরা টিকিট কাটতে না পেরেও ভেন্যুর বাইরে দাঁড়িয়ে থেকেছেন শুধু 'শোনার' জন্য, তাঁরা ফসিল্স। সব থেকে পেছনের সারি থেকে শো দ্যাখেন যাঁরা সামনে আসার সুযোগ ছেড়ে, বা একদম সামনের সারিতে দাঁড়াবেন বলে কনসার্ট শুরুর ৫ ঘণ্টা আগে এসে লাইনে দাঁড়ান, তাঁরাও ফসিল্স।’
বাংলায় রক ব্যান্ড তৈরি করেছেন রূপম ইসলাম। শুরু থেকেই ‘বাংলা রক’কে হেয় প্রতিপন্ন করা ‘পণ্ডিতেরা’ যে তাঁর কাছে নতি স্বীকার করেছেন, তা এখন প্রতিষ্ঠিত। রূপম লিখেছেন, ‘যাঁরা অকারণে গালি দিয়েছেন? 'বাংলায় রক হয় না' বলেছেন? আপনারাও ফসিল্স। ফসিল্স শোনে বলে বাড়িতে শাসন করেছেন যাঁরা, বা 'এরকম গান শোনা হয় না এই বাড়িতে' বলে ফতোয়া জারি করেছেন, তাঁরাও ফসিল্স।’
‘ফসিল্স ফ্যানদের 'গুন্ডাবাহিনী' বলেছেন যাঁরা? আর শুধুমাত্র আমাদের ভালবাসার অপরাধে 'গুন্ডাবাহিনী' উপাধি ঘাড়ে নিয়েও যাঁরা আমাদের সঙ্গে থেকেছেন বছরের পর বছর এবং মানুষের কাছে গালি খেয়েও মানুষের কাজে পথে নেমেছেন― ২৪ ডিসেম্বর রাতে পথশিশুদের হাতে উপহার পৌঁছে দিয়েছেন বা কোভিডকালে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, নিজেদের প্রাণের তোয়াক্কা না করে কখনও অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ঢুকে গেছেন মুমূর্ষু রোগীর ঘরে, বা বয়স্ক মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন হাসপাতালে... আপনারা অতি অবশ্যই ফসিল্স!’ লিখেছেন গায়ক।