
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বলিউডের নামী, প্রতিষ্ঠিত পরিচালক রোহিত শেট্টি (rohit shetty)। পুলিশ কেন্দ্রিক চরিত্র নির্ভর ছবি করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। সদ্য মুক্তি পাওয়া সূর্যবংশীও সেই ধারার ছবি। ছবির নায়ক অক্ষয় কুমার সন্ত্রাসবাদ দমনকারী স্কোয়াডের ডিসিপি বীর সূর্যবংশী। শহরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ছক ভেস্তে দেন তিনি। ছবিতে আছেন ক্যাটরিনা কঈফ। অজয় দেবগন, রণবীর সিংকেও ক্যামিওর ভূমিকায় দেখা যাবে। অতীতে বোল বচ্চন, চেন্নাই এক্সপ্রেস, দিলওয়ালের মতো হিট ছবিও করেছেন রোহিত। তিনি ফিল্মি পরিবারের (film family) ছেলে। তাঁর বাবা অভিনেতা তথা অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার এম বি শেট্টির ছেলে। কিন্তু জানেন কি, রোহিতকে পায়ের তলায় জমি পেতে একসময় কত কষ্টই না করতে হয়েছে। কেরিয়ারের শুরুর সেই সংগ্রামের (struggle)দিনগুলি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন রোহিত।
বলেছেন, মোটেই সহজ ছিল না যাত্রাটা। লোকে ভাবে ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রির লোক বলে অসুবিধা হয়নি। যখন কাজ শুরু করলাম, পেতাম মাত্র ৩৫ টাকা। অনেকদিনই খাওয়ার পর হাতে পয়সা থাকত না। হাঁটতাম। কখনও খাবার জুটত না। থাকতাম সান্তা ক্রুজে। সেখান থেকে বাসা বদল করি দহিসারে, ঠাকুমার বাড়িতে। তখন আর্থিক সঙ্কট ছিল পরিবারের। নিজেদের থাকার মতো বাড়ি ছিল না। দহিসার ছিল বেশ দূরে। তাই হাঁটতাম। মালাদ থেকে আন্ধেরি কতদিন হেঁটে গিয়েছি। রোদের মধ্যে দেড় থেকে দুঘন্টা লাগত। সেইসব অলিগলি আমার চেনা বলে এখন ড্রাইভারকে যখন কোনটা ধরতে হবে, কোনটা ছাড়তে হবে বলি, সে নিশ্চয়ই ভাবে, লোকটা জানল কী করে, আগে চুরি-টুরি করত নাকি!