শেষ আপডেট: 9th April 2025 16:47
ঠাকুরপুকুরের ঘটনায় অভিযুক্ত পরিচালক ভিক্টো এই মুহূর্তে পুলিশি হেফাজতে। টলিউডের অন্দরে প্রথমে প্রতিবাদে খামতি থাকলেও ক্রমে এ নিয়ে মুখ খুলছেন সকলেই। পরিচালকের কড়া শাস্তির দাবিতে হয়েছেন সরব। এমতাবস্থায় আচমকাই পরিচালক-বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর পরিবার আমজনতার র্যাডারে! এক ছবি নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ছবিটি রাজ চক্রবর্তীর ভাগ্নি ও ভিক্টোর। (যেহেতু ভিক্টোর এই ঘটনায় রাজ চক্রবর্তীর ভাগ্নি জড়িত নন, তাই তার সেই ছবি প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হল না)। বহুদিন ধরেই তাঁরা সম্পর্কে আছেন। সে কথা নানা সংবাদমাধ্যম তুলে ধরতেই এই ঘটনাতেও লেগেছে রাজনীতির রঙ। এখানেই শেষ নয়, রাজের ভাগ্নির ছবি নিয়েও চলছে নানা ধরনের মন্তব্য!
ভিক্টোকে বহুদিন ধরেই চেনেন রাজ। তাঁর প্রযোজনায় 'গোধূলি আলাপ' ধারাবাহিকেরও পরিচালক ছিলেন ভিক্টো। অকারণে ভাগ্নির নাম ব্যবহার, তা নিয়ে 'রাজনীতি'! কী বলছেন রাজ? দ্য ওয়ালের কাছেই উগরে দিলেন ক্ষোভ।
ভাগ্নির নাম জড়িয়ে যে প্রচার হচ্ছে তাতে বিরক্ত ও একই সঙ্গে অবাক পরিচালক। বললেন, "আমার ভাগ্নির বয়স এই মুহূর্তে ২১ বছর। হ্যাঁ, ওই পরিচালকের সঙ্গে ওর সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বাচ্চা মেয়েটা কি এটা জানত যে ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবে? ভিক্টো যা করেছে তা অপরাধ, ক্ষমার অযোগ্য। আইন অনুযায়ী শাস্তির দাবি সকলেই করছেন। কিন্তু আমার ভাগ্নিকে জড়িয়ে যেভাবে এই ঘটনায় রাজনীতির রঙ লাগানো হচ্ছে তাতে আমি সত্যিই অবাক! ও তো ভালবেসেই সম্পর্কে ছিল! তাহলে এখানে ওকে কেন টানা হচ্ছে?" রাজের প্রশ্ন, "সেই সব মানুষদের কাছে জানতে চাই যদি আপনাদের পরিবারের সঙ্গে অনুরূপ ঘটনা ঘটত তাহলে কী করতেন আপনারা? একবারও মনে হচ্ছে না এই মুহূর্তে আমাদের পরিবারের মধ্যে দিয়ে কী যাচ্ছে। ভিক্টোকে আমি চিনতাম, কোনওদিনও কাছের ছিল না। তবু চিনতাম তো। সে যে এরকম এক ঘৃণ্য কাজ করবে সেটা ভাবতেই পারছি না। "
এখানেই থেমে থাকেননি রাজ। তিনি আরও বলেন, "একবারও তো কেউ এটা জানতে চাইছেন না এই মুহূর্তে আমার ভাগ্নির মানসিক অবস্থা ঠিক কী! অবাক হয়ে যাচ্ছি, যারা ওর ছবি ব্যবহার করে মিথ্যে প্রচার চালাচ্ছে। তাঁদের মধ্যে কি সংবেদনশীলতার এতই অভাব! একজন মহিলার ছবি নিয়ে, তা নিয়ে মিথ্যে কথা বলে লাইমলাইটে আসার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে? এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার।"
গত রবিবারের ঘটনা। ঠাকুরপুকুরের ভরা বাজার। আচমকাই সেখানে ঢুকে পড়ে এক কালো রঙের গাড়ি। এলোপাথাড়ি চালিয়ে দেয় রবিবারের সকালে বাজার করতে আসা আমজনতার উপর। সেই গাড়ির ধাক্কায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে এক জনের। ড্রাইভার সিটে ছিলেন ভিক্টো ওরফে সিদ্ধান্ত দাস। সহযাত্রীর আসনে ছিলেন সান বাংলার কার্যনির্বাহী পরিচালক শ্রিয়া ও অভিনেত্রী ঋ। শ্রিয়া যে মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন সেই প্রমাণ ভাইরাল ভিডিওতে আগেই মিলেছে। যদিও দ্য ওয়াল সহ একাধিক সংবাদমাধ্যমে ঋ দাবি করেছেন, তিনি মদ খান না। সেদিনও মদ খাননি।