শেষ আপডেট: 15th February 2025 16:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিন সাত পাকে বাঁধে পড়লেন প্রতীক বব্বর। দীর্ঘদিনের বান্ধবী প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গাটছড়া বাঁধেন। সেই ছবি নিজেই শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্যাপশনে লেখেন প্রতিটা জন্ম তোমায় বিয়ে করতে চাই।
কাছের কয়েকজনকে নিয়ে এই বিয়ে সারেন অভিনেতা। তবে, সেই কাছের বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের তালিকায় ছিলেন না তাঁর বাবা রাজ বব্বর। এই নিয়ে খবর ছড়াতেই প্রতীকের ভাই জানান, কারও কথা অভিনেতাকে এই বিষয়ে প্রভাবিত করেছে। ভাইয়ের বিয়ের পরের মুহূর্তেই কার দিকে আঙুল তুললেন, সেই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। বাবা-ছেলের সম্পর্কের ফাটল নিয়েও কথা উঠছে।
প্রতীক ও রাজ বব্বরের সম্পর্কের তিক্ততা নতুন কোনও টপিক নয়। বলিউডে কান পাতলেই এবিষয়ে টুকিটাকি জানা যায়। প্রতীক একটা সময় বাবার পদবীও ব্যবহার করতেন না। সম্পর্ক এতোটাই খারাপ ছিল যে, বাবা লঞ্চ করতে চাইলেও তিনি কোনওদিন রাজি হননি।
কীভাবে তিক্ত হল সম্পর্ক?
কিংবদন্তি অভিনেত্রী স্মিতা পাটিল ও রাজ বব্বরের ছেলে প্রতীক বব্বর। প্রথম স্ত্রী নাদিরা, ছেলে আর্য এবং মেয়ে জুহিকে ছেড়ে স্মিতা পাটিলকে বিয়ে করেছিলেন রাজ। ১৯৮৬ সালে তাঁদের ছেলে প্রতীকের জন্ম হয়। কিন্তু মাকে কাছে পাননি জন্ম থেকেই। তাঁর জন্মের ১৪ দিনের মাথায় প্রসবজনিত সমস্যার জেরে মারা যান অভিনেত্রী। দূরে সরে যান বাবা।
স্মিতা পাটিলের মৃত্যুর পর রাজ ফিরে যান প্রথম স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের কাছে। তাঁর যে এক দুধের শিশু রয়েছে, সেদিকে তোয়াক্কাই করেননি। দিদা বিদ্যাতাই পাটিল এবং দাদু শিবাজিরাও গিরিধার পাটিলের কাছে বড় হন প্রতীক। বাবার প্রতি বিরক্তি তৈরি হয় প্রতীকের। পরে জানতে পারেন, কাজ এবং রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন রাজ যে শেষ সময়ও স্মিতা পাটিলকে সময় দেননি তিনি।
মা-বাবার ভালবাসা ও স্নেহ থেকে বঞ্চিত প্রতীক মাদক সেবন শুরু করেন। বার বার ফিরে এসেছেন অন্ধকার জগত থেকে আবার অনাদরে ফিরে গেছেন সেই জগতেই। এই পরিস্থিতিতে ছেলেকে ইন্ডাস্ট্রিতে লঞ্চ করতে এগিয়ে আসেন রাজ। তাঁর জন্য ছবি প্রযোজনা করতে চান বলে প্রতীককে জানান তিনি। কিন্তু জন্মের পর যে বাবা তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন, তাঁর সাহায্যে নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখতে রাজি হননি অভিনেতা। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে মায়ের কাছের বন্ধু অ্যাডগুরু প্রহ্লাদ কক্করের কাছে যান। প্রতীককে চকোলেটের একটি বিজ্ঞাপনে সুযোগ দেন তিনি। তারপর যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু কাজের জায়গাতেও বার বার সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। পাননি বাবার সামান্য সাহায্যও।
২০১৯ সালে ২৩ জানুয়ারি সান্যা সাগরকে বিয়ে করেন। এক বছরের মধ্যেই সেই বিয়ে ভেঙে যায়। লকডাউনের সময় বাঙালি মেয়ে প্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের কথা সকলের সামনে আনেন। ধুমধাম করে বিয়ে করেন শুক্রবার। বাবা বা সৎ ভাই-মা-বোনদের নিমন্ত্রণ না করায় ফের উঠে আসে পুরনো কথা।